দুধের রহস্য বাসর রাতে!
(একটি সামাজিক রসিকতা ভিত্তিক মজার গল্প)
বাসর রাত। ঘর ভরা ফুল, বাতি হালকা নরম, বাইরে সবাই ফিসফাস করছে — “আজ ওর জীবনের সবচেয়ে স্পেশাল রাত!”
ছেলেটার নাম মামুন। শেরওয়ানি পরা, গায়ে আতরের ঘ্রাণ, আর মুখে একগাল চাপা হাসি। একদম গ্রামে প্রথম বিয়ে হয়েছে, তাই একদম খাসা আয়োজন।
মামুন ঘরে ঢুকতেই দেখে একটা ট্রে হাতে নিয়ে মেয়েটি দাঁড়িয়ে আছে। ট্রেতে একটা গ্লাস দুধ! সে একটু ঘেমে উঠল।
চোখে চোখ পড়তেই মেয়ে হেসে বললো,
— "এই যে, বাসর রাতের দুধ। খান তো!"
মামুন ট্রে থেকে গ্লাসটা হাতে নিলেও মাথায় চলতে লাগল হাজার প্রশ্ন:
“আরে! দুধ কেন?”
“কে প্রথম চালু করলো এই নিয়ম?”
“বিয়ের রাতে কেউ কি আদৌ খেতে পারে এসব?”
সে এক চুমুক দিতেই দরজার বাইরে থেকে তার চাচাতো ভাই দুলাভাই কানে কানে বললো,
— “ভাইরে, দুধটা কিন্তু পুরা সিম্বলিক ব্যাপার। খেলে শরীর ভালো থাকে না ঠিকই, কিন্তু সবাই ভাবে খেয়েই বুঝি এখন বউ নিয়ে গোল্ড মেডেল পাবে!”
মামুন মুচকি হাসলো, আর বললো,
— “তাইলে আমার মেডেল তো ক্যালসিয়াম দিয়ে বানানো যাচ্ছে!”
একটু পর...
গল্প জমে উঠেছে। বউয়ের সঙ্গে কথা, হাসি, লজ্জা... হঠাৎ মামুন বললো,
— “তুমি কি জানো, বাসর রাতে ছেলেদের দুধ খাওয়ানোর পেছনে লজিক কী?”
বউ মুচকি হেসে বললো,
— “তুমি বলো না আগে!”
মামুন গম্ভীর হয়ে বললো,
— “কারণ বিয়ের আগে পুরা সমাজ, আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী সবাই এত এক্সপেকটেশন তৈরি করে, যে ছেলে যেন এক্সামে বসছে! তো দুধ খাইয়ে তারা বলে, 'ভাই, শক্তি লও, শারীরিক না হোক মানসিক!'” 😅
😆 গল্পের মোরাল?
বাসর রাতের দুধ কোনো ধর্মীয় রীতি না।
এটা একদম লোকমুখে চালু হওয়া একটা রসিকতা আর ভালোবাসা মিশ্রিত ছোট্ট ট্র্যাডিশন — যাতে করে দুই নবদম্পতির মাঝে একটা মিষ্টি, হালকা রসাত্মক মুহূর্ত তৈরি হয়।
এখনো পর্যন্ত মামুন যখন তার বউকে বলে “দুধ খাইবা?” — বউ লজ্জা পায় না, বরং বলে,
— “আজ দুধ না, বরফ দে! একটু ঠাণ্ডা থাক!”
🤣 হাসতে হাসতে পাগল হওয়ার মতো না?
