অবাধ্য স্ত্রীর মানসিক যন্ত্রণা – স্বামীর চোখে
রফিক একজন সাধারণ মানুষ। গ্রামের ছোট একটি স্কুলে শিক্ষক, সংসারের হাল ধরেছেন তিনি নিজের হাতে। ছোটবেলা থেকেই তিনি শিখেছেন জীবন মানে কষ্ট সহ্য করা, ধৈর্য ধরে চলা। স্বপ্ন দেখেছিলেন সংসারে শান্তি, বোঝাপড়া, আর একান্ত ভালোবাসা। কিন্তু বাস্তবতা সবসময় রঙিন হয় না।
রফিকের স্ত্রী, সিমা, দেখতে সুন্দর, কথা বলতে মিষ্টি, আচরণে চঞ্চল। তবে এক অসাধারণ বৈশিষ্ট্য আছে— অবাধ্য আচরণ।
প্রথম দিনের চাঞ্চল্য
বিয়ের পর প্রথম কয়েক মাসে রফিক তার স্বপ্নময় সংসারের গল্প ভাবেন।
তিনি চেয়েছিলেন সন্ধ্যায় চা খাওয়া, একসাথে গল্প করা।
তিনি চেয়েছিলেন খরচের হিসাব, সন্তানদের শিক্ষা সব সুন্দরভাবে চলুক।
কিন্তু সিমা?
সে যা বলে, তা মানে উল্টো।
রান্না শেষ করেও বলে, “আমার ইচ্ছা অনুযায়ী হবে।”
রফিক হিসাব করলেই সে ভোলার ভান করে।
একদিন রফিক বললেন:
“আজ রাতের খাবারে মাছটা রাখো না, তাজা সবজি দাও।”
সিমা করল ঠিক উল্টো— মাছ বানালো, সবজি ফেলে দিল।
রফিক হতবাক— “আমি কি বলেছিলাম?”
সিমা হাসল: “আমি তো আমার মতো করি।”
এটাই ছিল শুরু, প্রতিদিনের একটানা মানসিক চাপ।
🌀 বাস্তবতার টানাপোড়েন
রফিক যত বড় স্বপ্ন দেখতেন, ততই প্রতিদিন অবাধ্য স্ত্রীর আচরণ মানসিক চাপ বাড়াত।
পরিবারে কোন উৎসব হলে সিমা নিজের মতো করে সব সাজিয়ে, রফিককে অপ্রিয় বসতে বাধ্য করে।
স্বামী যা শোনায়, তা খেয়াল না করে নিজের সিদ্ধান্তে চলে।
রফিক মনে মনে ভেবেছিলেন, সংসার মানে বোঝাপড়া, কিন্তু তিনি দেখলেন অবাধ্য আচরণ সংসারের শান্তি ভেঙে দেয়।
রফিকের বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও, সিমা হঠাৎ বেজায় রাগ দেখায়।
“তুমি তো আমাকে সময় দাও না, বন্ধুদের সঙ্গে ব্যস্ত। আমি একা থাকব না।”
রফিকের মনে হলো, ঘরে শান্তি নেই, বাইরে শান্তি নেই। মানসিক যন্ত্রণা বেড়ে যাচ্ছে।
ছোট্ট শিক্ষা, বড় ব্যথা
দিনের শেষে রফিক বোঝেন— জীবনের কঠিনতম চাবিকাঠি হলো অবাধ্য মানুষের সঙ্গে বোঝাপড়া করা।
তিনি শিখলেন, কিছু সময় নিজের মানসিক শান্তি রক্ষা করাই জীবনের সবচেয়ে বড় কাজ।
তিনি শিখলেন, শান্তি, ধৈর্য আর কথার সদ্ব্যবহার ছাড়া অবাধ্য আচরণ সামলানো কঠিন।
সংসার মানে শুধু অর্থ, নয়— বোঝাপড়া, সম্মান, সহনশীলতা।
রফিকের জীবনের শিক্ষাটি স্পষ্ট— পুরুষের সবচেয়ে বড় মানসিক যন্ত্রণা আসে অবাধ্য স্ত্রীর কারণে।
কিন্তু যদি বোঝাপড়া, ধৈর্য এবং সঠিক সীমা থাকে, সংসার টিকে থাকে, মানসিক শান্তি আসে।
রফিক আজও মনে করে—
“আমি চাই একদিন ঘরে শান্তি, না যে সব কিছু নিজের মতো করুক। কারণ শান্তি মানে জীবনের সেরা সম্পদ।”