বউয়ের ভয়ংকর ডায়েট”
স্থান: রাজশাহীর এক শান্ত পাড়ার বাড়ি
চরিত্র:
রফিক – এক নম্র ভদ্র জামাই
শিলা – রফিকের স্ত্রী, নতুন ডায়েট এক্সপার্ট
খালাম্মা – শিলার মা, যাকে সবাই ভয় পায়
কবির – রফিকের প্রাণের বন্ধু
রফিক বিয়ের পর থেকেই শুনে আসছে– "স্বামীকে slim রাখতে হবে, না হলে লোকে ভাববে— বউ ভালো রাঁধে না!"
তাই শিলা হঠাৎ একদিন ঘোষণা দিল–
"আজ থেকে তুমি আমার ডায়েট চার্টে থাকবে!"
রফিক তো অবাক!
"মানে আমি কি খরগোশ, না কি পোষা টিয়া? আমাকে চার্টে রাখবি?"
শিলা গম্ভীর গলায় বলল,
"তুমি আমার হিরো, কিন্তু এখন একটু বেশি হিরোইন হয়ে গেছো। পেটটা দেখি ড্রামের মতো!"
রফিকের বুক ধপধপ করে।
"তাহলে খাই কী?"
"সকাল ৭টায় – এক গ্লাস গরম পানি
সকাল ৮টায় – ১টা কাঁচা শসা
সকাল ৯টায় – ১টা বাতাস!"
রফিক হাউমাউ করে কাঁদে,
"বাতাসেরও পরিমাণ আছে?"
শিলা হেসে বলে,
"হ্যাঁ, বেশি খেলে গ্যাস হবে।"
দিন যায়, রাত যায়...
রফিক একদিন আর সহ্য করতে না পেরে তার বন্ধু কবিরকে ফোন করে বলে,
"ভাই, একটা বাসি রুটি দে... তোর পায়ের ধুলাও খাব!"
কবির হাসে, বলে,
"তোর বউ তোকে না খাইয়ে তোর শরীরকে ভাসিয়ে দিবে রে!"
রফিকের মাথা চক্কর দেয়।
শুধু খিদায় না, এখন সে রোজ রাতে ঘুমের মধ্যে রসমালাই দেখে, আর সকালে উঠে দেখে– বালিশ কামড়ে রেখেছে!
একদিন শিলা বাইরে গেলে রফিক রান্নাঘরে ঢুকে এক হাঁড়ি খিচুড়ি চেটেপুটে খায়।
ঠিক তখনই শিলা এসে গেল!
শিলার চোখ টকটকে লাল।
"তুমি ডায়েট ভাঙলে?"
রফিক কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,
"এই খিচুড়ি... নিজেই হাঁড়িতে ঢুকে পড়েছিল! আমি তো চেষ্টা করছিলাম বাঁচাতে!"
শিলা ডায়েট বই ছুঁড়ে মারল–
"তাহলে এই হাঁড়ির আত্মা শান্তি পাক!"
পরদিন রফিক দেখে, খালাম্মা এসেছে।
খুশিতে বলে,
"খালাম্মা, আপনি আমার পরিত্রাণ!"
খালাম্মা বলে,
"ডায়েট করতে এসেছি। আজ থেকে তুমিও আমার সাথেই করবি।"
রফিক চিৎকার করে উঠল,
"আল্লাহ্ রে! বউয়ের ডায়েট ছিল দোযখ, এখন শাশুড়ির ডায়েট– মহাপ্রলয়!"
রফিক এখন তিনবেলা দাঁত মাজে, কারণ খাবার না থাকলে অন্তত পেস্টের স্বাদ তো পাওয়া যায়! আর ফ্রিজ খুলে বাতাস খেয়ে বলে,
“আজ মাছের গন্ধেই পেট ভরেছে!”