ঘটনা শুরু
গ্রামের বড়লোক হাবিব সাহেব তার ছেলের জন্য বউ খুঁজছেন। ছেলে আবার “ভদ্র, মিষ্টি, চুপচাপ” টাইপের মেয়ে চায়।
একদিন খবর এল — পাশের গ্রামে সেলিনা নামের এক মেয়ে আছে, দেবদূতের মতো চেহারা, খুব ভদ্র, খুব শান্তশিষ্ট।
তাহলেই তো কাজ শেষ! হাবিব সাহেব পুরো পরিবার নিয়ে ধুমধাম করে গেলো “মেয়ে দেখতে”।
প্রথম দেখা
ঘরে ঢুকেই মেয়ে মাথা নিচু করে চুপচাপ বসে আছে।
শ্বশুরবাড়ির লোকজন তো মুগ্ধ!
বউমা একেবারে ফেরেশতার মতো বসে আছে, মনে হচ্ছে যেন গঙ্গাজল খেয়ে জন্মেছে।
তখনই পাত্রপক্ষ থেকে এক আন্টি মিষ্টি হেসে জিজ্ঞেস করলো—
“মা, তুমি তো খুব ভদ্র মনে হচ্ছ। আচ্ছা বলো তো, তুমি রাগ করলে গালাগাল দাও নাকি?”
মেয়ে তখন মাথা নেড়ে বললো—
“না না, কী যে বলেন! গালি তো আমি মুখেও আনি না। ওসব বালের কথা আমি কখনোই বলি না।”
সবাই তো খুশিতে নেচে উঠলো—
“আহা, মেয়ে তো একেবারে লক্ষ্মী! একদম বউ করার মতো।”
লুকানো ট্যালেন্ট বেরিয়ে গেলো
এবার গল্পে টুইস্ট!
ঘরের ছোট একটা বাচ্চা হঠাৎ এসে মেয়ের আঁচল টেনে দিলো।
মেয়ে ব্যথায় বলে উঠলো—
“এই শালা, হাতে কি পচা আলু লাগছে, যা খ্যাঁচর খ্যাঁচর করছিস!”
ঘর একেবারে চুপ।
পাত্রপক্ষ একে অপরের দিকে তাকিয়ে রইলো।
বাচ্চা ভয় পেয়ে পালালো।
কিছুক্ষণ পর আবার পাশের চাচি হেসে হেসে বললো—
“মা, তুমি কি একটু গান গাইতে পারো?”
মেয়ে হেসে গলা খুললো—
🎶 “আমার সোনার বাংলা, আমি তোকে… এই মাগির দল, সুর ধরো না!” 🎶
সাথে সাথে সবাই চোখ কপালে তুললো।
চরম হাসির কাণ্ড
এবার পাত্র সাহেব নিজেই সাহস করে বললো—
“আপু, একটা কথা বলি, আপনারা তো বললেন গালি দেন না, কিন্তু একটু আগেই তো দিলেন?”
মেয়ে ভদ্র ভদ্র মুখে বললো—
“আরে ভাই, এগুলো গালি না, এগুলো আদর! আমি যদি সত্যি গালি দেই, তখন ছাদ ফেটে যাবে।”
সবাই তো অবাক!
তখন পাশ থেকে মেয়ের ভাই ফিসফিস করে বললো—
“ভাই, বিশ্বাস করেন, আমার বোন গালি দেওয়ার রাজা। গত সপ্তাহে বাসের কন্ডাক্টরের সাথে এমন ঝাড়ি দিয়েছে, যে বাসই রুট পাল্টে অন্য পথে চলে গেছে।”
ফাইনাল ব্লাস্ট
ঠিক তখন রান্নাঘর থেকে একটা হাঁড়ি পড়ে গিয়ে ভেঙে গেলো।
মেয়ে একেবারে দাঁত বের করে চেঁচিয়ে উঠলো—
“এই হারামজাদা কে হাঁড়ি ভাঙলো! দাঁড়া, আজকে তোকে আমি এমন গালি দেবো যে ফেসবুকেও ভাইরাল হবে!”
পাত্রপক্ষ সবাই চেয়ার থেকে লাফ দিয়ে উঠলো।
পাত্র তো কপাল চেপে ধরে বললো—
“আম্মা, আমরা ভুল করে ‘বউ’ দেখতে আসিনি, আমরা তো এসেছি গালি-বাজ মাস্টার দেখতে।”
বাড়ি ফেরার পথে সবাই একসাথে হেসে বললো—
“এ বিয়ে হলে তো জামাই বাসর রাতেই ‘মাগির দোস্ত’ শুনতে পেত।”
গল্পের শিক্ষা
সব মিষ্টি মিষ্টি চেহারার আড়ালেই ফেরেশতা থাকে না, মাঝে মাঝে পুরো ‘গালি-গবেষণা কেন্দ্র’ লুকিয়ে থাকে! 😅