বাসর রাতের কাণ্ড
গ্রামে বিয়ে হয়েছে রফিকের। সারাদিনে নাচ, গান, খাওয়া, মিষ্টি, হাজারো মানুষ এসে দেখে গেছে।
শেষে যখন বাসর রাত, সবাই হইচই করে ঘর সাজিয়ে দিলো—লাল পর্দা, গোলাপ ফুল, বিছানায় গোলাপ পাপড়ি, যেন সিনেমার সেট!
রফিক জামাই এইসময় একেবারে খুশির ফোয়ারা। মনে মনে ভাবছে,
👉 “এই রাতের জন্যই তো এতদিনের কষ্ট! রোজগার, সঞ্চয়, খরচা, সব আজ সার্থক। আজ আমি রাজা!”
এদিকে ঘরের এক কোণে চুপচাপ বসে আছে রফিকের বউ সেলিনা। মাথা নিচু, হাত কাঁপছে, যেন পুলিশ ধরতে এসেছে।
ওর মনে হচ্ছে—
👉 “আল্লাহ, এই যে সবাই বাইরে দরজা বন্ধ করে চলে গেলো, এখন আমি বাঁচবো তো?”
🌺 হাসির খুনসুটি শুরু
রফিক ফুল হাতে এগিয়ে এসে ধীরে বলে,
“শোনো, তুমি জানো আজ রাতটা কত স্পেশাল?”
সেলিনা ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে মাথা নিচু করে বললো,
“জানি… কিন্তু আমি ভয় পাই।”
রফিক হেসে বললো,
“ভয় কিসের? আমি তো তোমার জামাই, ভূত না!”
সেলিনা মাথা নিচু করে ফিসফিস করে বললো,
“ভূত না, কিন্তু সবাই বলে জামাইরা নাকি প্রথম রাতে খুব ভয়ংকর হয়ে যায়।”
রফিক একেবারে হো হো করে হেসে ফেললো—
👉 “আরে আমি কী বাঘ-সিংহ নাকি? আমি তো ফুলের মতো জামাই।”
🌸 অদ্ভুত কাণ্ড
এদিকে বাইরে শ্বশুরবাড়ির সবাই কান খাড়া করে আছে, কে কী করছে শুনবে বলে।
রফিক বউকে হাসানোর জন্য বললো—
“দেখো, আমি গান গাই, তুমি ভয় কোরো না।”
গাইতে গাইতে একদম বেসুরে চেঁচিয়ে উঠলো—
🎶 “চোখে চোখে কথা হলো, প্রথম দেখা যখন…” 🎶
বউ ভয়ে আর লজ্জায় হেসে ফেললো। বাইরে শ্বশুর-শাশুড়ি হাসি আটকাতে পারলো না।
🌺 চরম মজার ঘটনা
হঠাৎ করে বাতি নিভে গেলো।
বউ তো ভয়ে একেবারে চিৎকার দিয়ে উঠলো—
“আল্লাহ! ভূত!”
রফিক বললো,
“কী ভূত! আমি তো আছি।”
তখন বউ অন্ধকারে ভুল করে রফিকের গালে আলতো চাপ দিতে গিয়ে,
একেবারে জোরে কষে দিলো থাপ্পড়!
রফিক ব্যথায় চেঁচিয়ে উঠলো—
“আহহ! এ আবার কী হলো?”
বউ কেঁদে বললো,
“আমি ভেবেছিলাম ভূত!”
রফিক হাসতে হাসতে বললো,
👉 “তাহলে আজ প্রমাণ হলো, বাসর রাতে ভূত না, জামাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে ভয়ংকর।”
🌟 গল্পের শেষ
এরপর ধীরে ধীরে ভয় কেটে গেলো। বউও হাসলো, জামাইও খুশি হলো।
কিন্তু সারা জীবন রফিক সবাইকে বলে বেড়ালো—
👉 “আমার বউ আমাকে বাসর রাতেই ভূত ভেবে থাপ্পড় মেরেছিল!”
এবং গ্রামের মানুষ এই গল্প শুনে আজও হেসে গড়াগড়ি খায়।