শুধু বিয়ে করলেই সফলতা নয়, সফলতা তখনই আসবে যখন সঠিক জীবনসঙ্গী মিলবে।
আমরা অনেকেই বিয়ের নাম শুনলেই মনে করি—
এটাই জীবনের আসল সফলতা।
বিয়ের কার্ড ছাপানো, সাজসজ্জা, নতুন জামা, ছবি তোলা—
এসবকেই অনেকে সুখ আর সফলতার চূড়ান্ত বলে ধরে নেয়।
কিন্তু… সত্যিটা অনেক কঠিন।
সফলতা শুধু “বিয়ে হয়েছে”—এই কথায় না,
বরং সফলতা তখনই হয় যখন সেই বিয়েতে থাকে—
👉 চরিত্র, বিশ্বাস আর দ্বীন।
বাহ্যিক সুখ বনাম আসল সুখ
ধরুন,
একজন মেয়ে সুন্দরী, রূপের কোনো অভাব নেই।
কিন্তু যদি তার চরিত্র না থাকে?
তাহলে সেই সৌন্দর্য একদিন ক্লান্ত করবে,
কারণ মনের শান্তি রূপ দিয়ে কেনা যায় না।
আবার ধরুন,
একজন ছেলে ধনী, গাড়ি-বাড়ি সব আছে।
কিন্তু যদি সে দায়িত্ব নেয় না, রাতদিন অন্য মেয়ের পিছে ঘুরে বেড়ায়—
তাহলে সেই টাকার পাহাড়ও সংসারে আগুন লাগাবে।
সমাজের কিছু বাস্তব দৃশ্য
1. অনেক প্রবাসী পুরুষ আছে, যারা বছর বছর বিদেশে কষ্ট করে টাকা পাঠায়।
কিন্তু স্ত্রী যদি চরিত্রবান না হয়, দ্বীন না মানে—
সেই টাকা সংসার বাঁচাতে পারে না, বরং সংসার ভেঙে দেয়।
2. আবার অনেক মেয়ে আছে, যারা সব কিছু দিয়ে স্বামীকে সুখ দিতে চায়।
কিন্তু স্বামী যদি চরিত্রহীন হয়, দায়িত্ব না নেয়—
সেই মেয়ে প্রতিদিন ভেঙে যায় ভেতর থেকে।
আসল সফলতা
সফল বিয়ে হলো তখনই,
যখন স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই আল্লাহকে ভয় করে,
দু’জনেই একে অপরকে ইজ্জত দেয়,
দু’জনেই একে অপরের পাশে দাঁড়ায়।
👉 সেখানে রূপ, টাকা বা সামাজিক মর্যাদা—
সবকিছুই গৌণ হয়ে যায়।
কারণ শান্তি শুধু ভালোবাসা ও বিশ্বাসে,
আর সেই ভালোবাসার আসল শিকড় হলো চরিত্র আর দ্বীন।
সহজ করে একটা তুলনা
ভাবুন,
আপনি একটা সুন্দর বাড়ি বানালেন।
বাইরে রঙিন, ঝলমলে, সবাই দেখে আহা-উহু করছে।
কিন্তু ভিতরে যদি ভিত্তি দুর্বল হয়?
একদিন হাওয়াতেই ভেঙে পড়বে।
ঠিক তেমনই—
বিয়ে যদি শুধু রূপ, টাকা বা নামের উপর দাঁড়ায়,
তাহলে সেটাও একদিন ভেঙে যাবে।
কিন্তু যদি ভিত্তি হয় চরিত্র, দায়িত্ব আর দ্বীন—
তাহলে সেই সংসার ঝড়-ঝাপটা সামলেও টিকে থাকবে।
শিক্ষা
সুতরাং, শুধু বিয়ে করলেই সফল হওয়া যায় না।
সফলতা তখনই আসে যখন আপনার জীবনসঙ্গী—
👉 চরিত্রবান, দ্বীনদার, দায়িত্বশীল আর বিশ্বস্ত হয়।
বিয়ে কোনো সিনেমা নয়, এটা আজীবনের পথচলা।
তাই সঙ্গীকে বেছে নেয়ার সময় শুধু রূপ বা টাকা দেখে নয়,
চরিত্র আর দ্বীন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কারণ জীবনে আসল সফলতা মানে—
👉 শান্তি, বিশ্বাস আর আল্লাহর ভয়।
