যা চাইনি, তাই পেয়েছি
রাফি সব সময় চেয়েছিল বিদেশে চাকরি করবে। ছোট্ট একটা গ্রামে বড় হয়েছে সে, কিন্তু স্বপ্ন ছিল দুবাই গিয়ে অনেক টাকা উপার্জন করবে। নিজের পরিবারকে সুখে রাখবে।
বছরের পর বছর চেষ্টা করল, ভিসার জন্য দালালের কাছে টাকা দিল, একবারের জন্যও আল্লাহর কাছে ইস্তেখারা করেনি—শুধু নিজের ইচ্ছার পেছনেই দৌড়েছে।
একদিন সুযোগ এলো, ভিসা হয়ে গেল। গ্রামের সবাই খুশি, পরিবার খুশি, শুধু রাফির মা একটু চুপচাপ। তিনি বারবার বলছিলেন,
– “বাবা, আল্লাহর উপর ভরসা করো। যা তোমার জন্য ভালো, সেটাই হবে।”
কিন্তু রাফি শুনলো না।
বিদেশ যাওয়ার আগের দিন রাতে খবর এলো—যে কোম্পানির ভিসায় সে যাচ্ছিল, সেটার মালিক ধরা পড়েছে ভিসা জালিয়াতির জন্য। যারা ইতিমধ্যে গেছে, তারা রাস্তার ভিখারি হয়ে গেছে।
রাফির বুক ভেঙে গেল। এত টাকা, এত স্বপ্ন—সব শেষ।
সবার সামনে সে ভেঙে পড়ল, কিন্তু মা শুধু হেসে বললেন,
– “দেখো, আল্লাহ তোমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। তুমি গেলে হয়তো আজ রাস্তায় ঘুমাতে হতো। তোমার জন্য দরজা বন্ধ করেছেন, কারণ অন্য দরজা খোলার অপেক্ষায়।”
কয়েক মাস পরে, গ্রামের কাছেই একটা নতুন ফ্যাক্টরি খুললো। রাফি সেখানে চাকরি পেল। বিদেশে না গিয়েও, আল্লাহ তাকে হালাল ও নিরাপদ রুজির পথ দিলেন। ধীরে ধীরে সে গ্রামে সম্মানিত হলো, ঘর বানালো, বিয়ে করলো।
রাফি তখন বুঝলো—
👉 আমরা যা চাই, সেটা সবসময় মঙ্গল নয়।
👉 আর আল্লাহ যখন কিছু বন্ধ করে দেন, সেটা হয়তো আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় রহমত।
শিক্ষণীয় কথা
"হতে পারে তুমি কোনো কিছু খুবই চাও, অথচ সেটা তোমার ক্ষতির জন্য। আর হতে পারে তুমি কোনো কিছু ঘৃণা করো, অথচ সেটাই তোমার জন্য কল্যাণকর। আল্লাহ জানেন, আর তুমি জানো না।" (সূরা আল-বাকারা: ২১৬)