গল্প: ভালোবাসার ফাঁদে |। মিথ্যা ভালোবাসা: ছলনা মহি নারীর

 গল্প: ভালোবাসার ফাঁদে

ভালোবাসার ফাঁদে

নাম তার মীরা। চেহারায় চঞ্চল সৌন্দর্য, কথায় মধুরতা আর আচরণে এমন নাটকীয়তা—যা একবার দেখলে মনে হয়,

> “এই মেয়েটা সত্যিই আলাদা।”

মীরা নিজের জীবনকে এক ধরনের ব্যবসা বানিয়ে নিয়েছে। না, সে কোনো প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে না, আবার কারো কাছে “খারাপ মেয়ে” বলার মতো প্রমাণও নেই। কিন্তু সে যা করে, তা সমাজের চোখ ফাঁকি দিয়ে ভালোবাসার অভিনয়ে ছেলেদের দিয়ে সব কিছু আদায় করে নেওয়া।

পরিচয় এক না, বারোটা...

মীরা প্রতিটি জায়গায় নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে।

রিয়াজের কাছে সে—একটা গরিব পরিবারের একমাত্র মেয়ে, যে টিউশন করে সংসার চালায়।

তুহিনের কাছে সে—প্রাক্তন প্রেমিকের অত্যাচারে পালিয়ে আসা এক মমতাহীন মেয়ে, নতুন করে জীবন শুরু করতে চায়।

সোহেলের কাছে সে—একটা অনলাইন বিজনেস চালায়, পার্টনার খুঁজছে।

রাশেদের কাছে সে—মাস্টার্সে ভর্তি হতে চায়, কিন্তু কেউ সহযোগিতা করছে না।

রিফাতের কাছে সে—এক প্রেমিকের দ্বারা প্রতারিত, ভালোবাসায় ভয় পাওয়া এক নিষ্পাপ মেয়ে।

আলভীর কাছে সে—বিয়ের উপযুক্ত, পরিবার চাপ দিচ্ছে, তবে সে আগে কাউকে ভালোবেসে ছিল।

প্রতিটি ছেলের কাছে আলাদা পরিচয়। আলাদা কান্না। আলাদা গল্প।

আর প্রতিটির কাছ থেকেই সে কিছু না কিছু নেয়।

কারো কাছ থেকে iPhone

কারো কাছ থেকে ভাড়া বাসার অগ্রিম টাকা

কারো কাছ থেকে মায়ের চিকিৎসা খরচ

কারো কাছ থেকে ছদ্ম ব্যবসায় ইনভেস্টমেন্ট

আর কারো কাছ থেকে ভবিষ্যৎ বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে গিফট ও নগদ টাকা

বারোটা ছেলেই ভাবে — “সে আমার ভালোবাসার মানুষ”

কেউই জানে না, আরেকজনও তার জীবনে আছে। কারণ সে সম্পর্ক রাখে গোপনভাবে, "নিজের ব্যক্তিগত সমস্যা" বলে কারো সাথে ছবি তোলে না, ঘোরে না, স্ট্যাটাস দেয় না।

তার একটা নিয়ম:

> “আমি কাউকে সামনে আনতে চাই না, কারণ আমি জীবনে অনেক কষ্ট পেয়েছি...”

ছেলেরা ভাবে,

> “এই মেয়েটার এত কষ্ট! আমি তাকে সুখী করবো!”

অথচ তার পেছনে চলছে এক গোছানো হিসাবি জীবন, যেখানে একজন ছেলের কাছ থেকে মোবাইল, আরেকজনের কাছ থেকে বাসা, তৃতীয়জনের কাছ থেকে শপিং, চতুর্থজনের কাছ থেকে পড়ার খরচ।

কিন্তু সত্য ধরা পড়ে...

একদিন রিফাতের এক বন্ধুর বিয়েতে সে দেখে মীরাকে, সোহেলের হাত ধরে আসছে "সোহেলের স্ত্রী" হিসেবে।

রিফাত হতবাক!

দিন না যেতেই রাশেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে এক ক্যাফেতে দেখে, পাশের টেবিলে মীরা বসে তুহিনের সঙ্গে।

রাশেদ আর তুহিন দুজনই তাকে "বউ" দাবি করে।

এরপর একদিন মীরার মোবাইল হাত ফসকে পড়ে যায় এক বন্ধুর হাতে—আর খুলে পড়ে ভালোবাসার নাটকের সব বারোটি অধ্যায়।

মুখোশ খুলে পড়ে...

মীরা তখন বলে,

> “আমি কাউকে জোর করে কিছু দেইনি। সবাই আমাকে ভালোবেসে দিয়েছে। আমি শুধু নিয়েছি। তাতে দোষ কী?”

মীরা একদিন সব ছেলের কাছ থেকে ধরা পড়ে যায়। কেউ তাকে পুলিশে দেয় না, কেউ মামলা করে না—কিন্তু সবাই তার মুখোশ খুলে দেয়।

তার প্রতিটা সম্পর্ক ছিলো ব্যবসা।

ভালোবাসা না।

প্রেম, বিশ্বাস, অশ্রু—সবই ছিলো একটি ফাঁদ, যার ভেতরে আটকে ছিলো বারোটি জীবন।

---

গল্পের শিক্ষা

সব নারী এমন নয়। কিন্তু কিছু কিছু "বারোভাতারি" নারীর কারণে আজ প্রেম, ভালোবাসা, বিশ্বাস—সবকিছু শুধু সময় ও অর্থের বিনিময় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদের জন্য একজন সৎ ও নিরীহ ছেলেও সন্দেহের চোখে দেখা হয়, কেউ আর হৃদয় খোলে না।

ভালোবাসা এখন অনেকের কাছে চুক্তিভিত্তিক সুবিধার বস্তু।

আর সম্পর্ক মানেই —

> “যতক্ষণ পাবে, ততক্ষণ থাকো।”

Disclaimer / Story Policy

This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.

We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.

If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.

"এই গল্পটি ‘গল্পের রাজ্য.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com

এমন মন ছুয়ে যাওয়া গল্প পরতে ভিজিট করুন ক্লিক