১. বাস্তব জীবনের কষ্টের গল্প
রুহুল পেশায় একজন দারোয়ান। প্রতিদিন ভোরে উঠে গেট খুলে দেয়, রাত গভীর হলে তালা দেয়। একই রুটিন—দিন, মাস, বছর।
একদিন এক অফিসার তার নাম জিজ্ঞেস করল। রুহুল অবাক হয়ে মাথা নিচু করল। বলল, “স্যার, এতো বছর কাজ করি, কেউ কোনোদিন নাম জানতে চায়নি। আজ মনে হচ্ছে, আমি সত্যিই আছি।”
তার জীবনটা ছিল অস্পষ্ট ছায়ার মতো—যেখানে কষ্টের ছাপ আছে, কিন্তু কেউ দেখে না।
---
২. বাস্তব সমাজ নিয়ে কিছু কথা
মিমি স্কুলে সবসময় প্রথম হতো। শিক্ষকরা বলতো, "তুই অনেক দূর যাবি!"
কিন্তু মেয়ে বলে বাবা তার পড়া বন্ধ করে দিলো। বলল, “বিয়েটাই মেয়ের আসল ভবিষ্যৎ।”
আজ তার সহপাঠীরা সরকারি অফিসার। আর মিমি রান্নাঘরের জানালা দিয়ে পেছনের আকাশ দেখে ভাবে—“শুধু জন্ম মেয়ে হয়ে হয়েছিল বলেই কী আমার সব স্বপ্ন থেমে গেল?”
---
৩. বাস্তব জীবনের ফেসবুক স্ট্যাটাস
আজিজের ফেসবুক টাইমলাইনে আজ একটি ছবি—দাঁত বের করা হাসি, পাশে কেক।
ক্যাপশন: “Life is beautiful!”
কিন্তু কেউ জানে না, এই ছবির ঠিক আগেই সে কাঁদতে কাঁদতে বলছিল, “আর ভালো লাগছে না।”
আজিজ জানে, মানুষ কষ্ট বোঝে না—তারা ক্যাপশন পড়ে। তাই সে লিখে গেছে শুধু ‘সুখ’, কারণ কষ্ট লিখলে কেউ লাইক দেয় না।
---
৪. বাস্তব কথা
হাসান একটা গ্রামে বেড়ে উঠেছে যেখানে পড়ালেখার চাইতে জমি চাষ করাটাই বড় গর্ব। সে বই নিয়ে বসলেই মানুষ বলত, "ছেলেটা অলস, কিছু করতেও চায় না!"
কিন্তু সে চেয়েছিল অন্য কিছু—আলো দেখতে, শহর দেখতে, মানুষ হতে।
আজ সে একটা কলেজে শিক্ষক। কিন্তু সে জানে, তার সেই গ্রাম এখনও বলে, "ও তো চাকরি করে, কৃষিকাজ শিখল না!"
---
৫. কষ্টের কিছু বাস্তব কথা
শিপ্রার মা অসুস্থ। ঘরে খাবার নেই। সে একটা বুটিক দোকানে কাজ করে।
সেই দোকানের মালকিন একদিন বলল, “তোমার চেহারাটা একটু স্মার্ট হলে কাস্টমার বেশি আসত।”
শিপ্রা আয়নার দিকে তাকিয়ে নিজের মুখটা দেখল। মনে মনে বলল, “চেহারা নয়, ঘামের দাম জানলে, তুই মুখের দিকে তাকাতিস না—হাতের দাগ দেখতিস।”
---
৬. বাস্তব জীবনে ঘটা বুলিং এর উদাহরণ
আকাশ ছোটবেলায় একটু মোটা ছিল। স্কুলে সবাই বলত, “মটকা” “ড্রাম”।
বন্ধুদের দলে সে কখনো জায়গা পায়নি। একদিন ক্লাসে এক মেয়ে বলেছিল, “তোর মত মোটা ছেলেকে কেউ পছন্দ করবে না।”
সেই আকাশ আজ ফিটনেস ট্রেইনার, একটা নামকরা জিমের মালিক।
তবু এখনো যখন আয়নায় নিজেকে দেখে, ছোটবেলার সেই গালিগুলো কানে বাজে।