স্বাধীনতা ও দায়িত্ব | নারীদের স্বাধীনতা & পুরুষের দায়িত্ব

বাস্তব গল্প: “স্বাধীনতা ও দায়িত্বের দোলাচল”

তামান্না, একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী, স্বাধীনচেতা। পরিবার তার পড়াশোনার সুযোগ দিয়েছে, স্বপ্ন দেখিয়েছে বড় হওয়ার, মানুষ হওয়ার। সময়ের সাথে সাথে তামান্না আধুনিক হয়েছে—সামাজিক মাধ্যম, ফ্যাশন, ‘নিজেকে ভালোবাসো’ টাইপ চিন্তা তার মাথায় ঢুকেছে। ধীরে ধীরে সেই মেয়েটি নিজের স্বাধীনতাকে আত্মবিশ্বাসের চেয়ে প্রদর্শনের মাধ্যম বানিয়ে ফেলল।

শরীর দেখিয়ে ফলোয়ার বাড়ানো, স্টোরিতে রাত ১২টার "বস্তুবিহীন" লাইভ, পোশাকে দৃষ্টিকটুতা—এসব যেন তার স্বাধীনতার পরিচয় হয়ে গেল। অথচ তার ভেতরের সেই স্বপ্ন, সম্মান আর আত্মমর্যাদা কোথায় যেন হারিয়ে গেল।

অন্যদিকে ছিল রায়হান। একটা সময় কলেজে ভালো ছাত্র ছিল, স্বপ্ন ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু সে স্বপ্ন আর পরিশ্রমের মধ্যে যোগসূত্র ছিল না। একটা ব্যর্থ চাকরির পরীক্ষার পর সে হাল ছেড়ে দিল। বন্ধুদের আড্ডা, টিকটক ভিডিও, দিনভর ফেসবুকে মেসেজ করেই তার দিন চলে যেত।

রায়হান আর তামান্না, দুজনেই পরিচিত হয় অনলাইনে। ইনবক্সে ঘনিষ্ঠতা, রোমান্টিক কথা, ভালোবাসা — সবকিছু চলল। কিন্তু ধাক্কাটা এল তখন, যখন তামান্নার পরিবার চাইল বিয়ের কথা এগুক। রায়হান চুপ। কোনো আয় নেই, কিছু করার ইচ্ছেও নেই। তামান্না বুঝে গেল, সে একটা ‘ভুল স্বপ্ন’ বেছে নিয়েছে।

অন্যদিকে, সমাজ তামান্নার অতিরিক্ত খোলামেলা জীবনকে তামাশার চোখে দেখতে শুরু করল। কেউ আর তার ভিতরের শিক্ষাকে দেখে না, দেখে তার ছবি, তার ভিডিও, তার স্টাইল। তার স্বাধীনতা এখন তার প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

একদিন তামান্না বলল, "আমি স্বাধীন ছিলাম, কিন্তু সেটা কি সম্মানের সাথে ছিল? এখন সবাই আমার শরীর দেখে, মেধা নয়।"

রায়হান আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলল, "আমি যদি সময়মতো নিজেকে গড়তাম, তাহলে আজ কেউ আমাকে মূল্যহীন ভাবত না।"

শেষ দৃশ্যে দুজন দুই পথে হাঁটছে — একজন সম্মান হারিয়ে, আরেকজন নিজেকে গড়ার সুযোগ নষ্ট করে।

---

গল্প থেকে শিক্ষা

স্বাধীনতা ও দায়িত্ব—এই দুটি যদি সমান্তরালে না চলে, তবে পুরুষ হোক বা নারী, কেউই নিজেকে টিকিয়ে রাখতে পারে না। স্বাধীনতার অপব্যবহার আর দায়িত্বহীনতা একে অপরের চেয়ে কম ভয়ংকর নয়।

Disclaimer / Story Policy

This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.

We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.

If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.

"এই গল্পটি ‘গল্পের রাজ্য.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com

এমন মন ছুয়ে যাওয়া গল্প পরতে ভিজিট করুন ক্লিক