কেল্টু প্রেমিকার জন্য টাকা চুরি
কেল্টুর একটাই সমস্যা—ওর মাথায় প্রেম মানেই সিনেমা।
প্রেমিকা মানেই গোলাপ ফুল, বার্গার, আইসক্রিম, আর মাঝে মাঝে “আই লাভ ইউ” বলার পর ডিম রোল।
কিন্তু সমস্যা হলো, কেল্টুর পকেট সবসময় ফাঁকা।
ওর বাবা বলে, “পড়াশোনায় মন দে, টাকা চাইলে জুতা খাবি।”
মা বলে, “এই বয়সে প্রেম মানে ধ্বংস, সাবধান নাটু।”
কিন্তু কেল্টু কারো কথা শোনে? উল্টা ও ভাবে—
👉 “প্রেমিকা ছাড়া জীবন মানে ভাত ছাড়া তরকারি।”
একদিন প্রেমিকা ফোন দিলো—
“শোনো, আজকে না আমার খুব আইসক্রিম খেতে ইচ্ছে করছে।”
কেল্টু কাঁপা গলায় বললো—
“কোন সমস্যা নাই বেবি, তোমার জন্য আমি চাঁদ-তারা আনতে পারি।”
প্রেমিকা হেসে বললো—
“চাঁদ-তারা লাগবে না, নগদ একশ টাকা নিয়ে আইসক্রিম খাওয়াও।”
কেল্টু এখন বিপদে। পকেটে মোটে দশ টাকা, সেটাও আগের দিন ফুচকা খেয়ে শেষ।
তাহলে সমাধান? ও ঠিক করলো—বাবার আলমারি থেকে টাকা মারবে।
রাতের বেলা সবাই ঘুমাচ্ছে, কেল্টু চোরের মতো পায়ের আঙুলে হেঁটে বাবার ঘরে ঢুকলো।
আলমারি খুলে একশ টাকার নোট বের করলো।
কিন্তু বের করার সময় “চিঁইইইইইইইইই” করে দরজা কড়কড় করে উঠলো।
বাবা উঠে বললেন—
“কে রে? চোর নাকি?”
কেল্টু ভয়ে বলে উঠলো—
“না বাবা, আমি— আমি আসলে মশা মারতে এসেছি!”
বাবা সন্দেহ করে জেগে উঠলেন, আলো জ্বালালেন। কেল্টু নোটটা পকেটে গুঁজে দৌড় মারলো।
বাবা পেছন থেকে চিৎকার—
👉 “এই ছেলে, থাম! পকেট সার্চ কর, টাকা গেল কই?”
কেল্টু সোজা দৌড়ে প্রেমিকার কাছে গেলো।
হাঁপাতে হাঁপাতে বললো—
“বেবি, নাও তোমার জন্য আইসক্রিমের টাকা। আজ রাতের মিশন কমপ্লিট।”
প্রেমিকা টাকা হাতে নিয়ে অবাক হয়ে বলে—
“ওহ মাই গড! তুমি কি ব্যাংক ডাকাতি করে আসছ?”
কেল্টু গর্বের সঙ্গে বললো—
“ব্যাংক না, বাবার লকার।”
এবার প্রেমিকা রাগে আগুন হয়ে গেলো।
“কি? নিজের বাবার কাছ থেকে টাকা চুরি করছ? তুমি কি মানুষ না পশু?”
কেল্টু থতমত খেয়ে বললো—
“তুমি আইসক্রিম চাইছো তো, আমি তোমার জন্য সব করতে পারি।”
প্রেমিকা টাকা ফেরত দিয়ে সোজা চলে গেলো, আর বলে গেলো—
👉 “যে ছেলে নিজের বাবার টাকা চুরি করতে পারে, সে কোনোদিন প্রেমিক হতে পারে না!”
এদিকে বাড়িতে কেল্টুর বাবার মুড অফ, মা খাটের নিচ থেকে বেলন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
কেল্টু ঘরে ঢুকতেই ঝাড়ি শুরু—
“বাবার টাকা চুরি করিস? তোর প্রেমিকা তোকে খাওয়াবে, না আমরাই খাবি?”
কেল্টু কান চুলকাতে চুলকাতে বললো—
“বাবা, প্রেমিকার জন্যই করেছিলাম… আপনার জন্য তো করিনি।”
এই শুনে বাপ এক ধাপ এগিয়ে বললো—
👉 “তাহলে শাস্তি প্রেমিকার বাড়িতেই গিয়া খা।”
শেষ পর্যন্ত কি হলো জানো?
প্রেমিকা ব্রেকআপ দিলো, বাবা জুতা দিলো, মা বেলন দিলো।
আর কেল্টু শিখলো—
প্রেমে টাকা লাগে, কিন্তু টাকার জন্য চুরি করলে প্রেমিকা নয়, শুধু মারই পাওয়া যায়।