“বাপের বাড়ির মাল, জামাইয়ের কপালে কাল”
গ্রামের ছেলে সজল বিয়ে করেছে শহরের মেয়ে ঝুমুরকে।
বিয়ে তো হইছে, কিন্তু আসল যুদ্ধ শুরু হলো বিয়ের পরেই।
কারণ, ঝুমুর যখনই বাপের বাড়ি যায়, ফেরার সময় সাথে করে নিয়ে আসে—একেকটা ট্রাক ভর্তি মাল!
প্রথম ট্রাকের মাল
বিয়ের পর প্রথম ঈদে ঝুমুর গেলো বাপের বাড়ি।
ফিরে এলো, সাথে আনলো একটা খাট।
সজল খুশি হয়ে বললো—
> “খাটটা একদম পারফেক্ট, রাতে আমি এখানে ঘুমাবো।”
ঝুমুর চোখ বড় বড় করে চিৎকার দিলো—
> “কি বলেন? এটা আমার বাবার বাড়ির খাট, আপনি হাতও দিতে পারবেন না। আপনার জন্য ওই পুরান খাট আছে!”
সজল ভেবেছিলো মজা করছে, কিন্তু রাতে দেখলো সত্যিই সে পুরান খাটে পড়ে গেছে, আর নতুন খাটে ঝুমুর রাজকুমারীর মতো ঘুমাচ্ছে।
দ্বিতীয় ট্রাকের মাল
কিছুদিন পর ঝুমুর আবার বাপের বাড়ি গেলো।
ফিরে এলো একটা গাড়ি নিয়ে।
সজল আনন্দে লাফ দিলো—
> “এইবার অফিস যাবো স্টাইলে!”
কিন্তু ঝুমুর ঠাস করে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে বললো—
> “এক মিনিট! গাড়িটা বাবার বাড়ির, এটা শুধু আমি চালাবো। আপনি চাইলে সাইকেল চালান।”
ফলাফল?
পরদিন সজলকে দেখা গেলো—মেয়ের আনা গাড়ির পাশে সাইকেল নিয়ে ধুলো খাচ্ছে, আর ঝুমুর গাড়ির হর্ন বাজিয়ে পাশ কাটাচ্ছে।
তৃতীয় ট্রাকের মাল
ঝুমুর এবার আনলো ফ্রিজ।
সজল খুশি হয়ে বললো—
> “ভালো হয়েছে, গরমে ঠাণ্ডা পানি খাবো।”
কিন্তু ফ্রিজ খুলতেই ঝুমুর চিৎকার—
> “একদম না! এটা বাবার বাড়ির ফ্রিজ, আপনি শুধু তাকিয়ে দেখতে পারেন, খেতে পারবেন না।”
ফলাফল?
সজলকে গরমে দেখা গেলো—বরফের স্বপ্ন দেখে ঘাম ঝরাতে।
ঝুমুর ঠাণ্ডা শরবত খেয়ে টিভির সামনে বসে বলছে—
> “বাবার বাড়ির জিনিস, বাবার ইজ্জত।”
বাবার বাড়ির লড়াই
এমন চলতে চলতে সজলের মাথা একেবারে খারাপ হয়ে গেলো।
পাড়ার সবাই হাসতে হাসতে বলতো—
> “সজল ভাই, বউটা কি বউ, নাকি বাবার বাড়ির শাখা অফিস?”
শেষমেষ সজল একদিন ঘোষণা দিলো—
> “আজ থেকে আমি বউকে বাপের বাড়ি পাঠাবোই না। কারণ, প্রতিবার নতুন মাল আসে, কিন্তু আমি পাই শুধু পুরান কষ্ট!”
👉 বউ যদি বাপের বাড়ি থেকে মাল আনে, আগে চুক্তি করে নিন—জামাই ব্যবহার করতে পারবে কি পারবে না।
না হলে শেষমেষ জামাই হয় খাট ছাড়া, হয় গাড়ি ছাড়া, নয়তো ঠাণ্ডা পানি ছাড়া—কিন্তু কষ্ট ছাড়া না! 😂
