“বন্ধুর প্রেমে ছেঁকা খাওয়া”
গ্রামের ছেলে রাহুল আর তার বন্ধু পাপ্পু—দুজনই একসাথে বড়, কিন্তু প্রেমে একেবারেই আলাদা দুনিয়ার বাসিন্দা।
রাহুল খুব সাহসী, প্রেমে একদম ফাইটার টাইপ।
পাপ্পু? প্রেমে পুরোপুরি পাগল, আর প্রতি সম্পর্কেই ছেঁকা খায়, মানে পুরো মজা হারায়।
প্রথম প্রেমের ছেঁকা
পাপ্পু ভালোবেসেছিলো মিমি নামের এক মেয়ে।
প্রথম দিনই মিমি বললো,
> “তুমি আমার জন্য এক কাপ চা আনবে?”
পাপ্পু দৌড় দিলো, চা বানালো, দিলো হাতে।
মিমি এক চুম্বন দিলে পাপ্পু হেসে-হেসে পাগল হয়ে গেলো।
এই যে প্রেমের শুরু—ছেঁকার আগুন লাগলো!
রাহুল পাশে দাঁড়িয়ে ভাবলো,
> “বন্ধু, এই ছেলেটা তো প্রেমের আগুনে আগুন খাচ্ছে, আমি কিছুই করব না?”
প্রেমের ছেঁকার দ্বিতীয় ধাক্কা
পরের দিন মিমি বললো,
> “আজ আমাকে গিফট আনবে, না হলে বিরক্ত হয়ে যাব।
পাপ্পু রাস্তায় দৌড়াতে দৌড়াতে দোকান থেকে সুন্দর বেলুন আর চকোলেট কিনে আনে।”
মিমি বেলুন দেখে বলে—
> “এটা খুব ছোট, বড় বেলুন আনতে পারলি না?”
পাপ্পু মনে মনে কেঁদে মনে করলো—
> “বন্ধুর জন্য হোক না, এই প্রেমে তো আমি ছেঁকা খাচ্ছি!”
রাহুল পাশ থেকে চিৎকার করে বলে,
> “দেখছিস? প্রেমের খামতি! এই ছেলেটা এখনই পাগল হয়ে যাবে।”
তৃতীয় ধাপ: গ্রামবাসীর নজর
একদিন পাপ্পু মিমিকে ফুলের তোড়া দিতে গেল।
মিমি খেলতে খেলতে চিৎকার করে বললো—
> “এটা ঠিক জায়গায় নয়, উল্টোদিক দিয়ে আন!”
পাপ্পু দৌড়ায়, মুখে ফুলের তোড়া, পা মাটিতে আটকে যায়, ফিসফিস শব্দে গ্রামবাসী হেসে হেসে পাগল হয়ে যায়।
ফলে? পাপ্পু প্রেমে ছেঁকা খেয়ে দাঁড়িয়ে, আর ফুল আর মুখ উভয়ই কেচ্ছা।
শেষ হাসির চূড়ান্ত দৃশ্য
শেষ পর্যন্ত পাপ্পু মিমির জন্য এমন এক নাটক করলো যে পুরো গ্রাম এসে দেখলো—
পাপ্পু ফুলের তোড়া দিয়ে দৌড়াচ্ছে,
চোখে পানি, মুখে চকলেট মিশানো,
আর মিমি শুধু হেসে হাত নেড়ে বলছে—
> “বন্ধু, তুমি তো পুরো গ্রামকে কমেডি শো বানিয়ে দিলে!”
রাহুল হাসতে হাসতে বললো—
> “দেখেছিস? প্রেমে ছেঁকা খাওয়া মানে শুধু তুমি কষ্ট পাও না, সবাই পাগল হয়ে হাসে!” 😆
প্রেমে ছেঁকা খাওয়াটা মানে:
মুখে লাজ, চোখে পানি, মনেও আগুন।
বন্ধুরা দেখলে হেসে পাগল হয়।
আর যখন প্রেমিকা পাশেই থাকে, তখন তুমি সব হারিয়ে হাসি আর ছেঁকার মধ্যে ডুবে থাকো।
