ঘরে অন্য কেউ নেই ভেবে অনেক স্ত্রী স্বামীকে বুঝতেই চায় না, অথচ সেই মানুষটাই একদিন এমনভাবে দূরে সরে যায়— ফিরে চাইলেও আর মেলে না।
যে স্বামী সবসময় পাশে থাকে, তাকে অনেক স্ত্রী তখনই বোঝে, যখন সে আর আগের মতো সময় দেয় না।
ভালোবাসা যতটা সহজে পাওয়া যায়, তার কদর ততটা সহজে হয় না— বিশেষ করে যখন ঘরে সতীন নেই।
স্ত্রীরা ভাবে স্বামী তো পালাবে না, তাই যত্ন লাগে না। কিন্তু মন পালাতে সময় লাগে না।
স্বামীকে যত অবহেলা করা হয়, তত সে চুপ হয়ে যায়। আর একদিন সেই চুপ স্বামীর অভিমান হয়ে ওঠে।
যে স্বামী নিজের সব ছেড়ে স্ত্রীর জন্য বাঁচে, তার কষ্ট বোঝা যায়— যখন সে আর আগের মতো বাঁচতে চায় না।
অবহেলা সহ্য করতে করতে যে মানুষটা ভালোবাসতো, একসময় সে আর কিছুই চায় না— শুধু দূরত্ব।
স্ত্রীরা বুঝে না, ঘরে সতীন না থাকলেও, স্বামী যদি ভালোবাসা না পায়, সে একা থাকতেই শিখে ফেলে।
ভালো স্বামীর মূল্য তখন বোঝা যায়, যখন সেই ভালো মানুষটাও একদিন বদলে যায়।
সতীন না থাকলে অনেক স্ত্রী নিশ্চিত থাকে— কিন্তু ভালোবাসা কোনো নিশ্চয়তায় টিকে না, সেখানে যত্ন দরকার।
একজন স্বামী যখন অনেক কিছু সহ্য করে যায়, তখন স্ত্রী ভাবে সব কিছু ঠিক আছে— অথচ ভিতরে ভিতরে সে ধ্বংস হয়ে যায়।
স্বামীকে নিজের মতো ভাবলে ভুল হয়, কারণ তারও মন আছে, কষ্ট আছে, অভিমান আছে।
স্বামীর প্রতি যতটুকু সম্মান দেওয়া দরকার, সেটা যদি না থাকে— তাহলে শুধু ভালোবাসা দিয়েও সম্পর্ক টিকে না।
স্ত্রীরা বোঝে না— শুধু দায়িত্ব পালন করলেই সম্পর্ক টেকে না, সেখানে কদর, শ্রদ্ধা আর সময়ও দরকার।
যে স্বামী একসময় প্রতিদিন খোঁজ নিত, একসময় আর নেয় না— তখনই বোঝা যায়, সম্পর্কটা কতটা বদলে গেছে।
ঘরে সতীন না থাকলে স্ত্রীদের অনেক সময় সাহস বেড়ে যায়— আর সেই সাহসই একদিন সম্পর্ক ভেঙে দেয়।
ভালো স্বামী পাওয়া যেমন ভাগ্যের ব্যাপার, তাকে ধরে রাখা আরও বড় দায়িত্ব। সেটা অবহেলা করলেই চলে যায়।
স্বামী পাশে থাকে বলেই যে কিছু বলা যায়, সেটা অনেকেই বোঝে না। কিন্তু যখন সে আর শোনে না, তখন বোঝা যায় সে কত দরকার ছিল।
অন্য কেউ এসে যদি একটুখানি সম্মান দেখায়, একটুখানি ভালোবাসা দেয়— তখন নিজের স্ত্রী বুঝতে শেখে, সে কত কিছু দেয়নি।
ভালোবাসা পেতে চাওয়া স্বাভাবিক, কিন্তু সেটা না দিলে— একসময় কেউ আর চাইতে আসে না।