গল্প: মুখোশের পেছনের নারী | নারীদের ভালোবাসা নামে ছলনা

 গল্প: মুখোশের পেছনের নারী

মুখোশের পেছনের নারী

রিয়াজ একজন সাধারণ ছেলে। শহরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটিতে পড়ে, আর পাশাপাশি টিউশন করে নিজের খরচ চালায়। দেখতে মন্দ না, কিন্তু সরল মনে বিশ্বাস—ভালোবাসা মানেই একবারের জন্য, এক জীবনের জন্য।

ক্লাসে পরিচয় হয় সাদিয়া নামে এক মেয়ের সঙ্গে।

সাদিয়া, একদম শান্ত, হিজাব পরা, বইয়ের পাতা গিলে ফেলা টাইপ। প্রথমে রিয়াজ কোনো আগ্রহ দেখায় না, কিন্তু সাদিয়ার পক্ষ থেকেই বন্ধুত্বের হাত বাড়ে।

একদিন ভার্সিটির ক্যান্টিনে সাদিয়া বলে,

> “তুমি অন্য ছেলেদের মতো না রিয়াজ। তোমাকে দেখলেই মনের ভিতর প্রশান্তি আসে। কী জানি কেন!”

এরপর শুরু হয় গল্প, আড্ডা, একসাথে লাইব্রেরিতে পড়া।

রিয়াজ ধীরে ধীরে বিশ্বাস করতে শুরু করে,

> “হয়তো সাদিয়াই আমার নিয়তি।

দুই মাস পর

সাদিয়া বলে,

> “রিয়াজ, একটা কথা বলবো। কিন্তু রাগ করবে না?”

“বলো তো।”

“আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নিয়েছিলাম। এখন দিতে পারছি না। যদি তুমি একটু হেল্প করতে...?”

রিয়াজ ভাবেও না। টিউশনের টাকা থেকে দেয়।

তারপর আসে এক এক করে "ছোট ছোট" প্রয়োজন—মা অসুস্থ, মেডিকেল টেস্ট, ছোট ভাইয়ের কোচিং ফি, ল্যাপটপ নষ্ট, ইত্যাদি ইত্যাদি।

রিয়াজ সব কিছুতে পাশে থাকে, চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে।

একদিন ভার্সিটির বাইরে এক বান্ধবীর জন্মদিনে যায় রিয়াজ

হঠাৎ দেখে, সাদিয়া একজন ছেলের সাথে বাইকে করে চলে যাচ্ছে, খুব আপন ভঙ্গিতে।

রিয়াজ ভাবে হয়তো ভাই বা কাজিন হবে।

কিন্তু এরপর একদিন নিজের টিউশনের ছাত্রীর বাসায় গিয়ে দেখে, একই মেয়ে (সাদিয়া), ভিন্ন পরিচয়ে সেখানে গিয়ে "হোম টিউশন" পড়াচ্ছে। তাকে পরিচয় দিয়েছে —

> “আমি আনিস ভাইয়ের হবু বউ।”

রিয়াজ থমকে যায়।

চোখের সামনে মেয়ে যে তাকে প্রেমিকা বলতো, সে এখন অন্য একজনের হবু বউ?

রিয়াজ খোঁজ নিতে শুরু করে।

শুনে, সাদিয়ার একইসাথে ৪-৫ জন ‘প্রেমিক’ আছে। এক জন ওর খরচ চালায়, একজন মোটরবাইকে চড়ায়, আরেকজন দিয়ে ফোন কিনিয়েছে, আর রিয়াজকে দিয়ে চলেছে ‘পড়াশোনার ব্যয়’।

সবাই তার চোখে "বিশেষ", অথচ সাদিয়ার আসল চাওয়া শুধু সুবিধা।

একটা সময় রিয়াজ সেই সব ছেলেদের কাউকে কাউকে খুঁজে বের করে, কথা বলে। সবাই রীতিমতো অবাক।

সবাই একই ছেলের মতো ভাবে—

> “আমিই বুঝি তার ‘স্পেশাল ওয়ান’।"

শেষ অধ্যায়

রিয়াজ এখন আর কারো প্রেমে পড়ে না। তার বিশ্বাস ভেঙে গেছে, কিন্তু সে ঠকেও শেখে—জীবনের সবচেয়ে বড় পাঠ:

> “সব মেয়েরা একরকম না, কিন্তু কিছু ‘অভিনয় প্রিয়’ মেয়েরা ভালোবাসাকে লোভ আর স্বার্থে মিশিয়ে ফেলেছে।”

গল্পের শিক্ষা:

আজকাল কিছু মেয়ের কাছে সম্পর্ক মানে বিনিময়।

ভালোবাসা নয়, বরং প্রাপ্তির হিসাব।

তারা কারো কাছ থেকে ফোন নেয়, কারো কাছ থেকে উপহার, কারো কাছ থেকে মাসিক খরচ—আর প্রত্যেককে বোঝায়

> “তুমি ছাড়া আমি অন্ধকারে...”

এই মেয়েরা ৪/৫ জনের সঙ্গে নাটক করে, সম্পর্ক করে "প্ল্যান বি, সি, ডি" হিসাবে। কেউ দিলে থাকবে, কেউ না দিলে দূরে ঠেলে দেবে।

সত্যিকার ভালোবাসা তাদের অভিধানে নেই। তারা জানে শুধু “ব্যবহার”।

---

এই গল্প একটি বাস্তব প্রতিচ্ছবি। কেউ চাইলে এর মাধ্যমে বোঝাতে পারেন—ভালোবাসা শুধু চেহারার হাসিতে নয়, একজন মানুষের চিন্তাভাবনায়, আত্মত্যাগে, আন্তরিকতায় থাকে।

ভুল নারীকে ভালোবাসলে জীবনভর ক্ষত বহন করতে হয়।