কম বয়সে বিয়ে
কম বয়সে বিয়ে মানে শুধু একটি সামাজিক বন্ধন নয়, বরং এটি জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের শুরু। অনেক সময় তরুণ বয়সে প্রেম-ভালোবাসা বা জীবন নিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর ঠিক তখনই বিয়ে হয়ে উঠতে পারে এক নিরাপদ ও স্থিতিশীল পথ। যদি দুজন মানুষ পরস্পরের প্রতি দায়িত্ববান হয় এবং বাস্তবতাকে গুরুত্ব দেয়, তবে বয়স কম হলেও সেই সম্পর্ক টেকে।
---
কম বয়সে বিয়ে নিয়ে হাদিস
রাসুলুল্লাহ (সা.) তরুণদের উদ্দেশে বলেছিলেন, “তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, এটি চোখকে নিচু করে ও লজ্জাস্থান হেফাজত করে।”
(সহীহ বুখারী)
এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, যুবক বয়সেই যদি নফসকে নিয়ন্ত্রণের শক্তি না থাকে, তবে বিয়েই হতে পারে নিরাপদ ও হালাল পথ। ইসলাম কম বয়সে বিয়েকে উৎসাহ দিয়েছে তখনই, যখন সেই বয়সে মানুষ তার দায়িত্ব ও সঙ্গীর প্রতি আন্তরিকতা রাখতে সক্ষম।
---
কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা
১. একসাথে জীবন শুরু করলে একসাথে বেড়ে ওঠা যায়।
২. তরুণ বয়সে দাম্পত্য জীবনের মানসিক বন্ধন মজবুত হয়।
৩. পরিবারের দায়িত্ব শিখতে সময় বেশি পাওয়া যায়।
৪. ভবিষ্যতের জন্য যৌথভাবে পরিকল্পনা করা যায়।
৫. সমাজের ফাঁদ, প্রেমের ফাঁকি ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
এইসব উপকার তখনই বাস্তবায়িত হয়, যখন দুজনেই সচেতন ও মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে।
---
কম বয়সে বিয়ে করার উপায়
কম বয়সে বিয়ের জন্য আগে জানতে হবে—নিজের প্রস্তুতি কী? পড়াশোনা, চাকরি বা ক্যারিয়ার কি একদম শুরুতেই নাকি কিছুটা স্থিতিশীল? পরিবার ও সমাজকে বোঝাতে হবে যে আপনি আবেগের বশে নয়, বরং দায়িত্ব নিয়েই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সঙ্গী বাছাই করার সময় অবশ্যই বোঝাপড়া, মূল্যবোধ ও লক্ষ্যের মিল থাকা জরুরি।
---
কম বয়সে বিয়ে করার অপকারিতা
যখন কেউ খুব কম বয়সে পরিপক্বতা ছাড়াই বিয়ে করে, তখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়—বোঝাপড়ার ঘাটতি।
ক্যারিয়ার গড়ার আগেই সংসার চাপ দিলে তা একসময় বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অনেক সময় দেখা যায়, দুজনেই পরস্পরের দুনিয়া বুঝতে না পেরে একে অপরের কাছে হয়ে ওঠে বোঝা। আবেগে নয়, বরং চিন্তা-ভাবনা করেই সিদ্ধান্ত না নিলে এই অপকারিতা বাস্তবেই দেখা দেয়।