নারীদের কবিতা নতুন: কবিতা ক্যাপশন & কবিতা (কষ্ট)

 নারী কবিতা

নারী কবিতা

সে হাঁটে প্রতিদিন

একই পথ দিয়ে—হাতভর্তি বাজার, কোলে এক শিশু,

মাথায় কাপড় টেনে জাগায় সংসারের সূর্য।


তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করে না—

তুমি কেমন আছো?

সে কেবল হাসে, হেসে বলে,

"ভালো তো, কাজ অনেক বাকি।"


সে মা, সে বোন, সে প্রেয়সী,

তবে প্রথমে সে একজন মানুষ—

যে কাঁধে সংসার তোলে,

কিন্তু নিজের স্বপ্নটাকে চুপচাপ গিলে নেয়।


সে রান্না করে, সে সেলাই করে,

কিন্তু কেউ বোঝে না

তার মনেও একখানা আকাশ আছে—

যেখানে সে নিজেকে উড়াতে চায়, শুধু একটুখানি সময় চায়।


নারী—তাকে সাজিয়ে দেখানোর জিনিস নয়,

সে নিজের মতো করে জ্বলতে চায়,

জ্যোৎস্নার মতো নরম হয়ে,

কখনো আগুন হয়ে জেগে উঠতে চায়।

---

কবর কবিতা

এই শূন্য মাঠের একপাশে

একটা ছোট কবর, নামফলক নেই—

তবু কেউ কেউ এসে দাঁড়ায় মাঝে মাঝে,

হয়তো কিছু ফিসফিসে কথা বলে।


সে এক সময় ছিলো কারো বাবা,

কারো প্রেম, কারো স্বামী,

কিন্তু এখন কেবল একটা নিঃশব্দ শীতল ঠিকানা,

যেখানে কাঁদে না কেউ—শুধু সময় চুপ করে বসে থাকে।


জীবন ভরে সে সময় দিয়েছিল,

কিন্তু মৃত্যুর পর কেউ একটুও সময় দিল না তাকে—

এই কবর শুধু একখানা মাটি নয়,

এটা একেকটা বিস্মৃত গল্পের শেষ চিহ্ন।


তবু হাওয়া মাঝে মাঝে থেমে যায় এখানে,

সূর্য একটু মৃদু আলো দেয়,

পাখি কিছুক্ষণ বসে থেকে যায়—

মনে হয়, মৃতেরা এখনো জানে, কারা ভুলে গেছে তাদের।

---

কবিতা ক্যাপশন

১. "যাকে বলা যায় না, সে-ই তো কবিতা।"

২. "শব্দ যখন কাঁদে—তখন জন্ম নেয় কবিতা।"

৩. "যতবার ভাঙি, ততবার জোড়া লাগে—কবিতার মতো করে।"

৪. "একটু চোখের জল, আরেকটু না বলা কথা—এই নিয়েই কবিতা।"

৫. "কবিতা আসলে মন খুলে কথা বলার অন্য নাম।"

---

প্রেমের কবিতা

তোমার কাছে কিছু চাই না,

শুধু চাই পাশে বসে থাকো,

যখন দিন ক্লান্ত হয়ে পড়ে,

আর আমার হৃদয় কথা বলতে ভুলে যায়।


তুমি বলো, আমি নাকি বেশি চুপচাপ,

আমি হাসি—কারণ,

তোমার চুপ করে থাকা অনেক বেশি কথা বলে,

যা আর কেউ বোঝে না।


তুমি আমার গল্প নও,

তুমি সেই পাতা, যা আমি প্রতিদিন পড়ে যাই,

বারবার ভুলে যাই শেষ লাইনে গিয়ে—

তোমার চলে যাওয়া লেখা থাকে।


প্রেম মানে হয়তো

একসাথে কফির কাপে চুমুক দেওয়া নয়,

প্রেম মানে—দূর থেকে

একই চাঁদকে দেখে একই দীর্ঘশ্বাস ফেলা।

---

বিদ্রোহী কবিতা

তারা বলেছিলো,

তুমি পারবে না—তোমার জন্মই নয় সাহসের জন্য।

আমি হেসেছিলাম, কারণ আমি জানি—

যে চুপ করে থাকে, সেও একদিন বিস্ফোরণ হয়ে ওঠে।


আমাকে বাধা দিয়েছিলো সমাজ, নিয়ম, বিশ্বাস,

আমি ভেঙেছি—একটা একটা করে,

কারণ আমি বুঝি, ন্যায়ের চেয়ে বড় কিছু নেই,

আর অন্যায়ের চেয়ে ছোট কিছু হয় না।


আমি নারী, আমি শ্রমিক, আমি পথের ছেলে—

আমি চিৎকার করি না,

কিন্তু আমার চোখে আগুন থাকে,

যা দেখে অন্যায়ও ভয় পায়।


বিদ্রোহ মানে যুদ্ধ নয় সবসময়,

বিদ্রোহ মানে—নিজের মতো করে বাঁচা,

নিজের স্বপ্নটাকে বুকের মধ্যে রেখে

তাকে সবার সামনে দাঁড় করানো।

---

কবিতা

সন্ধ্যার রঙটা আজ একটু বেশি নরম,

তুমি নেই,

তবু যেন সবকিছু বলছে—

তোমার কথাই।


একটা চিল চিৎকার দিয়ে উড়ে গেলো—

আমি তাকিয়ে থাকলাম আকাশে,

ভাবলাম, যদি আমিও উড়তে পারতাম,

তোমার শহরে গিয়ে বলতাম, "ফিরে এসো।"


কবিতা তাই আমার কণ্ঠে নয়,

এটা আমার নিঃশ্বাসে, অপেক্ষায়, চোখে,

যেখানে তুমি প্রতিদিন ফিরে আসো

বুঝে না বুঝেই।

Previous Post Next Post