খারাপ কিছু দেখলে কী বলা উচিত
যখন আপনি হঠাৎ করে কিছু অশালীন, অশুভ বা ভয়ংকর দৃশ্যের মুখোমুখি হন— হোক সেটা বাস্তবে বা মিডিয়ায়— তখনই চোখ নামিয়ে ফেলাই উত্তম। এরপর মনে মনে বলুন:
“হে আল্লাহ! আপনি আমার চোখ ও অন্তরকে হেফাজত করুন।”
এই দোয়াটিও পড়া যেতে পারে:
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শুরুরি আবছারিনা”
(অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আমাদের চোখের খারাপ দিক থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।)
এভাবে নিজেকে সংযত রাখা এবং আল্লাহর স্মরণে থাকা খারাপ দৃশ্যের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
---
স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে কী হয়
স্বপ্ন এক রহস্যময় জগত। কখনো কখনো আমরা এমন কিছু দেখি যা ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরও মনে ভয় ধরিয়ে দেয়।
ইসলামের দৃষ্টিতে ভয়াবহ বা অশুভ স্বপ্ন শয়তানের প্ররোচনা হতে পারে। এসব স্বপ্নে বাস্তব ক্ষতির ভয় নেই যদি আপনি ভরসা রাখেন আল্লাহর উপর।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যে ব্যক্তি খারাপ স্বপ্ন দেখে, সে যেন তা কাউকে না বলে এবং আল্লাহর কাছে আশ্রয় চায়, তাহলেই তা ক্ষতি করতে পারবে না।"
---
খারাপ কিছু থেকে বাঁচার দোয়া
জীবনে খারাপ কিছু দেখা, শোনা বা অনুভব করার ঝুঁকি সব সময় থাকে। তাই নিয়মিত দোয়া পড়ে নিজেকে নিরাপদ রাখা জরুরি। নিচের দোয়াটি খুব উপকারী:
“আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম”
আরেকটি সুন্দর দোয়া:
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযু বিকা মিনাল খবসি ওয়াল খাবায়িস।”
(অর্থ: হে আল্লাহ! আমি সকল মন্দ ও অপবিত্র বস্তু থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।)
এই দোয়াগুলো হৃদয় ও মনকে সজাগ রাখে, খারাপ বিষয় থেকে আল্লাহর হেফাজতে রাখে।
---
স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয়
স্বপ্নে কিছু অস্বাভাবিক বা আতঙ্কজনক কিছু দেখলে যা করতে হবে, তা রাসুল (সা.)-এর হাদীস অনুসারে খুব সহজ ও কার্যকর:
ঘুম থেকে উঠে বাম দিকে তিনবার হালকা থুথুর মতো ফুঁ দিন
আউজু বিল্লাহ বলে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করুন
ওযু করে দুই রাকাত নামাজ পড়া অনেক উপকারী
সেই স্বপ্ন কাউকে না বলা সর্বোত্তম
সব শেষে বলুন:
“اللهم اجعلها رؤيا خيراً”
(হে আল্লাহ! এটিকে ভালো স্বপ্নে পরিণত করে দিন।)
এভাবে করলেই মন শান্ত হয় এবং ভয় কেটে যায়।
---
খারাপ কিছু দেখা
দুনিয়ায় চলতে গেলে অনেক সময় এমন কিছু দেখতে হয় যা আত্মা ও চিন্তাকে ব্যথিত করে। কখনো সেটা কোনো দুর্ঘটনা, কখনো অশ্লীলতা, আবার কখনো মানবতার অপমান।
এসব দেখে মনে কষ্ট হলে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন:
“হে আল্লাহ! এই পৃথিবীকে আপনি কল্যাণময় করুন এবং আমার চোখকে সত্য ও সৌন্দর্যের পথে রাখুন।”
চোখ যে পথে যায়, অন্তর সেই পথে আকৃষ্ট হয়— তাই সচেতন চোখ, সচেতন জীবন গড়ে তোলে।