ঘুমানোর: সময় বা রাতে একা থাকলে: খারাপ কিছু দেখলে করণীয়

 স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয়

স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয়

রাত গভীর। নুহ নামের এক যুবক ঘুমিয়ে আছেন। হঠাৎ তিনি দেখলেন অন্ধকারে এক ভয়ানক ছায়া তার দিকে এগিয়ে আসছে। ঘুম ভেঙে গেল হঠাৎই। বুক ধড়ফড় করছে। ভয় যেন গলায় আটকে আছে।

তখনই তার মায়ের শেখানো কথাগুলো মনে পড়ে — “বাম দিকে তিনবার ফুঁ দেবে, আর বলবে, আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।”

নুহ তাই করল। তারপর কেবলামুখী হয়ে দু'রাকাত নামাজ পড়ল। তার মনে প্রশান্তি নেমে এলো। সে জানে, খারাপ স্বপ্ন শয়তানের কুমন্ত্রণা, আল্লাহর নামেই আছে নিরাপত্তা।

স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে কি হয়

রায়হান ছোটবেলায় একবার স্বপ্নে দেখেছিল সে হারিয়ে গেছে, কেউ তাকে খুঁজে পাচ্ছে না। সকালে উঠেই সে কান্না শুরু করে। তার দাদি এসে হেসে বললেন, “স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই সব শয়তানের খেলা। শুধু বলো — হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকিল।”

রায়হান সেটা বলেই হালকা হয়ে গেল। আজও বড় হয়ে যখন সে খারাপ কিছু দেখে, তখন এই কথাগুলোই তার ভরসা।

খারাপ কিছু দেখা

তামান্না একদিন হাঁটতে বেরিয়ে রাস্তায় ভয়ানক এক দৃশ্য দেখে ফেলে। দুর্ঘটনার কিছু চিহ্ন। মন খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু সে জানে, দৃষ্টি নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং খারাপ দৃশ্য থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেওয়া ঈমানের অংশ।

সে চোখ বন্ধ করে আল্লাহর কাছে বলল, “হে আল্লাহ, আপনি আমাকে ভালো জিনিস দেখার তাওফিক দিন।” তারপর সে কুরআনের তিলাওয়াত শুরু করল। মনে শান্তি ফিরে এল।

খারাপ কিছু দেখলে কি বলতে হয়

ইব্রাহিম একদিন বন্ধুদের সঙ্গে বসে ছিল। হঠাৎই কারো ফোনে এমন কিছু ভিডিও চলে এলো, যা তার মনকে বিচলিত করে তোলে। সে সঙ্গে সঙ্গে চোখ ফিরিয়ে বলল, আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।

বন্ধুরা জিজ্ঞেস করল, “তুই এটা বললি কেন?”

ইব্রাহিম বলল, “খারাপ কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর আশ্রয় চাইতে হয়, তবেই মন পরিষ্কার থাকে।”

খারাপ কিছু থেকে বাঁচার দোয়া

মুসলিমা নামের এক তরুণী প্রতিদিন সকালে এবং রাতে এক দোয়া পড়ে —

اللهم احفظني من بين يدي ومن خلفي وعن يميني وعن شمالي ومن فوقي وأعوذ بعظمتك أن أغتال من تحتي

বাংলা উচ্চারণ:

আল্লাহুম্মা ইহ্‌ফায্‌নী মিন বাইনা ইয়াদাইয়্যা, ওয়া মিন খালফী, ওয়া আন ইয়ামীনী, ওয়া আন শিমালী, ওয়া মিন ফাওক্বী, ওয়া আউযু বি‘আজমাতিকা আন উগ্‌তা-লা মিন তাহ্‌তী।

বাংলা অনুবাদ (অর্থ):

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে রক্ষা করুন আমার সামনে থেকে, আমার পিছন থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে, এবং উপর থেকে। আর আমি আপনার মহত্ত্বের আশ্রয় চাই যেন নিচ থেকে কোনো ক্ষতি বা হামলার শিকার না হই।

এই দোয়ায় আছে চারদিক থেকে আল্লাহর হেফাজত চাওয়া। সে বিশ্বাস করে, আল্লাহর দয়া থাকলে কোনো খারাপ তাকে ছুঁতে পারবে না।

একদিন হঠাৎ সে ভয়ংকর একটি পরিস্থিতি থেকে অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। সে তখন আরও বিশ্বাস করে যে, দোয়ার শক্তি কত অসীম!

Previous Post Next Post