গল্প: রঙিন আলো অন্ধকার শেষ | নারীর স্বাধীনতার বিচার

 গল্প: “রঙিন আলো, অন্ধকার শেষ”

নারীর স্বাধীনতার বাস্তব শিক্ষা

তানহা।

সাধারণ পরিবারের সাধারণ এক মেয়ে। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখত—ডাক্তার হবে, মা-বাবাকে নিয়ে যাবে নিজের কেনা ফ্ল্যাটে। ক্লাস নাইনে উঠতেই হাতে এলো স্মার্টফোন। প্রথমে ছবি তোলা, এরপর ফিল্টার দিয়ে সাজানো, তারপর শুরু হলো TikTok – Instagram – Facebook রিলস।

সময় গড়াতে লাগল। কলেজে ওঠার পর সে হয়ে উঠল “ছোট সেলিব্রিটি”। স্কুলের পুরোনো বন্ধুরা তাকে চিনতে পারে না, নতুন ছেলেরা ইনবক্সে লাইন দেয়। সে বুঝে গেল—পোশাকে সাহস থাকলে, স্ট্যাটাসে স্বাধীনতা থাকলে, মানুষের চোখ আটকে যায়।

তানহা এসব ভালোবাসত। নতুন নতুন স্টাইল, খোলামেলা পোশাক, “My life, my rules” টাইপ স্ট্যাটাস—সবকিছু তাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলে। কিন্তু মানুষ তার মন নয়, শরীর দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গেল। ইনবক্সে বারবার একটাই কথা—"তুমি খুব হট", "তোমার বডি দারুণ", "একটা কফি ডেট হবে?"

তানহা প্রথমে বিরক্ত হতো, পরে বুঝে নিল—এটাই হয়তো জনপ্রিয়তা।

দিনগুলো কেটে গেল। বয়স বাড়ল, কিন্তু সম্মান বাড়ল না। যারা একসময় তাকে ফুল আর প্রেম পাঠাতো, তারা সবাই বলল,

"তুমি তো সবার, তোমাকে ঘরে নেয়ার সাহস নাই!"

একটা সময় সে প্রেমে পড়ল এক ছেলের। ছেলেটা ভালো, পড়াশোনায় মনোযোগী। কিন্তু সে একদিন সোজাসাপটা বলল,

"তোমাকে আমি পছন্দ করি, কিন্তু বউ হিসেবে নয়। আমার মা তোমার ছবি দেখলে হয়তো হার্ট অ্যাটাক খাবে।"

তানহার মাথা ঘুরে উঠল। এতদিন ধরে যে স্বাধীনতা, ফ্যাশন, জনপ্রিয়তা সে গড়ে তুলেছিল—তা আজ তার জীবনের সবচেয়ে বড় অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শেষ বয়সে একদিন আয়নায় নিজেকে দেখে সে বলল—

"সবাই আমার শরীর চায়, কিন্তু কেউ আমাকে ঘরে আনতে চায় না। আমি কি শুধুই একখণ্ড মাংস ছিলাম?"

এবং সেটাই ছিল তার গল্পের শেষ। ভেতরটা শূন্য, বাহিরটা আলোয় ভরা—তবু কেউ নেই পাশে।

---

গল্পের শিক্ষা

মেয়েদের স্বাধীনতা প্রয়োজন, কিন্তু যখন সেটা সীমা হারায়, তখন সমাজ তাকে “সম্মান” নয়, “ব্যবহার” করে। শরীর দেখিয়ে পাওয়া ভালোবাসা, শেষ পর্যন্ত ভালোবাসা থাকে না—থাকে শুধু চাওয়া, ভোগ আর বিসর্জন।

Disclaimer / Story Policy

This story is entirely fictional. Any resemblance to actual events, characters, places, or times is purely coincidental. The primary purpose of our stories is to entertain readers and present various social or emotional perspectives.

We do not intend to provoke anyone, incite violence, or cause defamation in any way. Every individual and culture is different, and we deeply respect that. Our stories are not meant to hurt anyone’s feelings or beliefs.

If any part of the story resembles your personal life, it is completely unintentional and coincidental. We do not hold responsibility for such similarities.

"এই গল্পটি ‘গল্পের রাজ্য.কম’ ওয়েবসাইটের নিজস্ব প্রকাশনা। আমাদের অনুমতি ছাড়া এই গল্প বা এর কোনো অংশ অন্য কোথাও প্রকাশ, অনুলিপি বা ব্যবহার করা যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চাইলে, অনুগ্রহ করে আমাদের সঙ্গে আগে যোগাযোগ করুন।" Jibonjuddhogolpo@gmail.com

এমন মন ছুয়ে যাওয়া গল্প পরতে ভিজিট করুন ক্লিক

Previous Post Next Post