খারাপ সময় কেউ পাশে থাকে না
**“অন্ধকারে পাশে দাঁড়ায় না কেউ,
শুধু আলোয় হাত ধরতে চায় সবাই।
আমি যখন ভেঙে পড়ি, তখন পৃথিবীর ব্যস্ততা বেড়ে যায়।
তখন শুধু নিজেকে জড়িয়ে ধরি,
কারণ মানুষ নয়, একাকিত্বই সবচেয়ে বিশ্বস্ত।”
— সাইফুল আজাদ, কবি ও বাস্তবতাবাদী চিন্তক
---
**“আমি যখন নিঃস্ব, তখন আমার প্রয়োজনটা কারো বোঝার বিষয় না,
তখন সবাই ভাবে আমি নিজেই নিজের বোঝা।
একটি শব্দও তখন কেউ বলছে না—‘তুই ঠিক আছিস?’
তখনই বুঝেছি, ‘ভালোবাসা’ আসলে খুব ব্যয়বহুল শব্দ।”
— নাজমুল হোসেন অন্তর, সমকালীন কাব্যকার
---
**“একটা সময় ছিল, যখন আমি ভাবতাম—
বন্ধুত্ব মানেই পাশে থাকা,
কিন্তু জীবন শিখিয়েছে—
বন্ধুত্ব মানে সময় ফুরানোর পর
‘seen’ রেখে নিরব থাকা।”
— রাইহান জামান, যুবপ্রজন্মের কণ্ঠস্বর
---
**“বৃষ্টির দিনে আমি কাঁদলে কেউ বলে,
‘আকাশও কাঁদছে তোর সঙ্গে।’
কিন্তু যে দিন আমার ঘরে আগুন লেগেছিল,
তখন কারো ছাতা ছিল না আমার জন্য।
বুক পুড়ে গেলেও তারা বলেছিল—‘দেখতে ভয়ংকর লাগছিস।’”
— তাসনুভা আফরোজ, নারী কবিতা আন্দোলনের পথিক
---
**“বিপদে মানুষ চেনা যায়—এই কথাটা এত পুরনো,
তবুও প্রতিবার বিপদে আমি নতুন করে শিখি,
যে কেউ পাশে থাকে না,
থাকে শুধু নিজের কষ্ট আর দীর্ঘশ্বাস।”
— মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, শহুরে নিরব কবিতা ধারার প্রতিনিধি
---
**“জীবনে যখন কিছু থাকে না,
তখন কিছু মানুষও আর থাকে না।
সেদিন বুঝেছি, সম্পর্কগুলো ফাইলের মতো—
প্রয়োজনে খোলা হয়,
অপ্রয়োজনে হার্ডডিস্কে মুছে ফেলা যায়।”
— অরিন্দম মাহমুদ, ডিজিটাল সময়ের কবি
---
**“কঠিন সময় আসলে
মানুষ মুখে বলে, ‘ভালো থাকিস’।
কিন্তু মনের মধ্যে তখনও তারা গুনছে—
কে কোথায় পড়ে যাচ্ছে,
আর কে টিকে আছে প্রতিযোগিতায়।”
— ইমতিয়াজ রাব্বী, অনুভবের কবি
---
**“একদিন আমি তাকিয়ে ছিলাম—
সবাই চলে যাচ্ছে, কেউ ফিরে তাকায় না।
আমি কাঁদছিলাম, কিন্তু তারা হাসছিল।
সেদিন জানলাম, একা থাকা শেখাটাও একটা শিল্প।”
— সালমা সুলতানা, নিঃসঙ্গতার কবিতা যাত্রার পথিকৃৎ