সফলতার অনুপ্রেরণার ১০টি বাস্তব ছোট গল্প
একটা সময় ছিল, যখন প্রতিদিন ২০ টাকা বাঁচিয়ে রাতের বেলায় মোবাইলের পেছনে সময় দিত ছেলেটা। সবাই বলতো, মোবাইলই জীবন শেষ করে দেবে তার। কিন্তু সে শিখছিল ভিডিও এডিটিং। তিন বছর পর সেই ছেলেটাই ইউটিউবারদের জন্য ভিডিও বানিয়ে লাখ টাকা আয় করছে। জ্ঞান কখনও বোকা বানায় না—শুধু সময় নেয়।
---
কলেজ শেষ হতেই পরিবারে চাপ—চাকরি খুঁজতে হবে। কিন্তু সে জানত, সে শিক্ষক হতে চায়। ইউটিউবে গণিত শেখানো শুরু করে। এখন তার ৪ লাখ সাবস্ক্রাইবার, স্পনসরশিপ আর কোর্স বিক্রি থেকেই চলে তার জীবন। নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল বলেই সে বেছে নিতে পেরেছে নিজের পথ।
---
প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে এক ঘণ্টা ধরে বই পড়ত। কেউ জানতো না সে ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে পড়ছে। পরিবার ভাবত, সে সময় নষ্ট করছে। কিন্তু একবছর পর সেই ছেলেই ওয়েব ডিজাইন করে ইনকাম শুরু করে। আজ সে নিজেই আরেকজনকে শেখায়, কীভাবে শেখা যায়।
---
ফ্রেন্ডরা যখন ছুটি কাটাতে যেত, সে থাকত ঘরে। সেভ করত খরচের টাকা। কেন? কারণ সে একটি ছোট কাস্টম টি-শার্ট প্রিন্টিং শুরু করতে চেয়েছিল। নিজে ডিজাইন করত, বিক্রি করত ফেসবুক পেজে। আজ তার দোকান আছে শহরের ব্যস্ত এক গলিতে।
---
বাড়িতে বাবার ছোট ব্যবসায় সাহায্য করত। ছোট থেকে দেখত লাভ-লোকসানের হিসাব। ধীরে ধীরে অনলাইনে সেই ব্যবসা নিয়ে আসে। নিজের হাতেই ছবি তুলে, ফেসবুক পেজ চালাত। আজ বাবার সেই দোকান শুধু দোকান নয়, একটি ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছে।
---
রাত ১২টা পর্যন্ত কল সেন্টারে কাজ করে সকালে ঘুমাতো ছেলেটা। কেউ জানতো না, সে ল্যাপটপে নিজের ই-কমার্স সাইট বানাচ্ছে। আজ তার সাইটে প্রতিদিন শত শত অর্ডার পড়ে। ক্লান্তির মধ্যেও যে স্বপ্ন দেখে, তার সকাল একদিন আলাদা হয়।
---
বন্ধুরা যখন মোবাইলে গেম খেলত, তখন সে অ্যাপ বানানোর ভিডিও দেখত। কেউ হাসত, কেউ বলত, সময় নষ্ট। কিন্তু সে জানত, তার লক্ষ্য কী। এখন প্লে স্টোরে তার নিজের ৪টা অ্যাপ আছে, হাজার হাজার ডাউনলোড। লক্ষ্য স্পষ্ট হলে কণ্ঠস্বরের দরকার হয় না।
---
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় টিউশনি করে চলত সে। একদিন ভাবল, ছোটদের জন্য গল্প বলার অডিও বানাবে। ইউটিউবে আপলোড করল কিছু কন্টেন্ট। মানুষ ভালোবাসল। সেই ভালোবাসাই তাকে এনে দিলো পেইড ক্লায়েন্ট আর স্বপ্নের ক্যারিয়ার।
---
মধ্যবিত্ত ছেলেরা সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ করে—স্বপ্নে। সে যখন অনলাইন বিজনেস শুরু করল, তখন কেউ পাশে ছিল না। সময় দিল, ভুল করল, শিখল। আজ তার সেই বিজনেসে তিনজন কর্মচারী কাজ করছে। মধ্যবিত্ত মানেই শেষ নয়, বরং শুরুটা একটু নিচ থেকে হয় বলে উঠে আসাটাও চমৎকার হয়।
---
চাকরি না পেয়ে হতাশ ছিল, চারদিকে খালি “সিভি পাঠাও” — “ইন্টারভিউ দাও”। একদিন ভাবল, কেন নিজেই কিছু শুরু করবো না? পুরোনো জিনিস ঠিক করে বিক্রি শুরু করল অনলাইনে। আজ পুরোনো মোবাইল ও গ্যাজেট বিক্রির নিজস্ব পেজ আছে তার। সমস্যা থেকেই সম্ভাবনা তৈরি হয়।