ইমোশনাল স্ট্যাটাস – মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
রাতে ছাদে উঠে একা বসে ছিল সায়ান। চাঁদটাও যেন আজ হালকা কুয়াশায় ঢাকা। চারদিকে নীরবতা, শুধু মাথার ভেতর চলছে অসংখ্য চিন্তার বিস্ফোরণ।
দিনভর অফিসে জবাবদিহি, আর সন্ধ্যায় ঘরে ফিরেই মায়ের ওষুধ, বাবার ক্লিনিক ভিজিট, বোনের টিউশন ফি—সব ঠিক রাখতে গিয়ে নিজের কষ্টগুলো কোথায় যেন জমা হয়ে আছে বুকের এক কোনায়।
সেদিন কেউ জিজ্ঞেস করেনি, "তুই কেমন আছিস?"
সায়ান জানে, মধ্যবিত্ত ছেলেরা প্রশ্নের উত্তর নয়, দায়িত্বের ভার বইতে শেখে। কষ্টগুলো জমা থাকে, চোখে পানি আসে না—কারণ কান্না করলে তো কেউ বুঝবে না, বরং বলবে, "তুই তো ছেলে!"
---
স্টাইলিশ স্ট্যাটাস – মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস স্টাইলিশ
রিফাতের বন্ধুরা বলে, “তুই কেমন জানি বদলে গেছিস রে!”
কেউ বোঝে না, বদলটা স্টাইল নয়, সময়ের শাসন।
আগে যে ছেলেটা বন্ধুদের সঙ্গে সারাদিন আড্ডা দিত, এখন সে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড বাইকে খাবার ডেলিভারি দেয়।
স্মার্টফোনে স্টাইলিশ ছবি নেই, কিন্তু ব্যাকগ্রাউন্ডে অন করে রাখা গুগল ম্যাপ আর ওয়ালেটের ক্যাশ হিসাব বলে দেয়—সে এখন পরিণত।
স্টাইলিশ হয়ে ওঠা মানে শুধু ফ্যাশন নয়—এটা নিজেকে হারিয়ে আবার নিজেকে খুঁজে পাওয়ার নাম।
মধ্যবিত্ত ছেলেরা স্টাইল করে নীরবে যুদ্ধ করে। জেতার জন্য নয়, টিকে থাকার জন্য।
---
ফেসবুক উপযোগী – ফেসবুক মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
সিয়ামের টাইমলাইনে অনেক ছবি—কখনো বন্ধুদের সঙ্গে, কখনো মঞ্চে দাড়িয়ে পুরস্কার নিতে।
কিন্তু কেউ জানে না, সেই হাসির পেছনে কত রাতের ঘুমহীনতা লুকিয়ে আছে।
মা বলেছিলেন, “ফোনটা কবে বদলাবি?”
সিয়াম জবাব দিতে পারেনি। কারণ ও জানে, কিস্তিতে ফোন কেনা মানেই পরের মাসে ঘরের বাজারে টান পড়বে।
সে শুধু ফেসবুকে লিখে—"সব ঠিক আছে", যেন কেউ টের না পায়, তার ভিতরটা আস্তে আস্তে ভেঙে যাচ্ছে।
মধ্যবিত্ত ছেলেরা লাইকের জন্য নয়, বেঁচে থাকার জন্য অভিনয় করে।
---
গভীর বাস্তবতা – মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
নয়ন ছোট একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে।
বেতন ঠিক মতো আসে না, কিন্তু ছেলেটা ঠিকই প্রতিদিন সকাল সাতটায় বেরিয়ে পড়ে।
জীবনে বড় কিছু চায় না, চায় শুধু ঘরের মানুষের মুখে হাসি।
প্রেম করেছিল একসময়, মেয়েটি বলেছিল, “তুই তো কিচ্ছু দিতে পারবি না, সময় নষ্ট করছিস।”
সেদিন নয়নের খুব কষ্ট হয়েছিল, কিন্তু কাউকে বলেনি।
কারণ সে জানে—এই সমাজে মধ্যবিত্ত ছেলের ভালোবাসা, স্বপ্ন আর আবেগ—সবই অপমানিত হয় বাস্তবের থাপায়।
---
পারিবারিক গল্প – পরিবারের মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
রুমান আজ অফিস থেকে ফিরেই বাবার ওষুধ নিয়ে গেল ফার্মেসিতে। মা বলল, “আজ একটু তরকারিতে মাংস দে, কদিন খাইনি।”
সে হাসিমুখে বলল, “আজকে তো মাসের শেষ, কাল না হয় ভালো কিছু করব।”
কিন্তু বাস্তবতা অন্যরকম—তার পকেটে তখন মাত্র ৮৭ টাকা।
নিজের নতুন জুতা দরকার, কিন্তু সেটাও আটকে গেছে বোনের টিউশন ফি দিয়ে।
মধ্যবিত্ত ছেলের জীবনের মানেই হলো পরিবারের জন্য নিজেকে প্রতিনিয়ত মুছে ফেলা।
তারা বলে না কিছু, শুধু করে যায়। একটিবার 'ধন্যবাদ' না পেলেও।
---
দ্বিগুণ বাস্তবতা – মধ্যবিত্ত মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
তানভীরের জীবনে সকাল শুরু হয় বাবার স্নান করানো দিয়ে, আর রাত শেষ হয় অফিসের কাজ শেষ করে ক্লান্ত শরীর নিয়ে মায়ের পাশে বসে ওষুধ খাওয়ানোর মাধ্যমে।
তার বন্ধুদের কেউ কেউ ইউরোপ-আমেরিকা, কেউ বিদেশি গাড়ির ছবি পোস্ট করে।
আর সে?
সে ট্রেন মিস করলে আরেকটা ভাড়াও জোটে না।
মাঝে মাঝে মনে হয়—এই যুদ্ধ থামবে তো কখনো?
তবুও থেমে যায় না। কারণ থেমে গেলে কেউ বলবে না—“কষ্ট পেয়েছিলি বুঝি?”
বলবে—“এতেই ভেঙে পড়লি?”
---
আবেগ আর অস্তিত্ব – মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস ফেসবুক মধ্যবিত্ত ছেলেদের কষ্টের স্ট্যাটাস
শুভর একটা ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল—“জীবনের সবটুকু দিয়েও কখনো কখনো কিছুই পাওয়া যায় না।”
হাজারটা রিয়্যাকশন, শেয়ার, কমেন্ট।
কিন্তু কেউ জানে না, সেদিন সে চুপচাপ বসেছিল ছাদের কোণে, কারণ তার চাকরির অফারটা বাতিল হয়ে গেছে।
মা শুধু বলেছিল, “তুই তো পড়াশোনায় ভালো ছিলি, এত কষ্ট কেন তোর?”
শুভ জবাব দিতে পারেনি।
সে জানে—এই পৃথিবীতে মধ্যবিত্ত ছেলেরা কেবল ফলাফলের জন্য তৈরি হয়,
কারণ কেউ তাদের সংগ্রামের গল্প শুনতে চায় না, শুধু সফলতা চায়।