কম বয়সে বিয়ে নিয়ে হাদিস
একদিন রাসূল (সা.) মদিনায় আসেন এবং তাঁর সাহাবী আবু হুরাইরা (রা.) তাঁর কাছে এক ছেলের বিয়ে নিয়ে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেছিলেন, "যে বিয়ে করবে, সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করেছে।" নবীজি (সা.) কম বয়সে বিয়ে করতে উৎসাহিত করতেন, কারণ তা দাম্পত্য জীবনের প্রতিষ্ঠা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সহায়ক।
কম বয়সে বিয়ে করার উপায়
ইসলামে বিয়ে করার আগে নিশ্চিত হতে হবে যে, আমরা যথেষ্ট পরিপক্ব এবং দায়িত্বশীল। একদিন হাকিম বিন হুযায়ম (রা.) তাঁর ছেলে ছেলের বিয়ে করতে চান। তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে আলাপ করে সুন্নাত অনুসরণ করেন। প্রথমে পারিবারিক সহায়তা নিতে হয় এবং তা সত্যিকারভাবে দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।
কম বয়সে বিয়ে করার উপকারিতা
একটি দাম্পত্য জীবন শুরু করার পর, সারা জীবন একসাথে কাটানোর সুযোগ থাকে। ফাহাদ নামক এক যুবক কম বয়সে বিয়ে করার পর নিজের জীবনকে শান্তিপূর্ণভাবে গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তিনি বলেন, "বিয়ের পর আমি আমার জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়েছি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করেছি।"
কম বয়সে বিয়ে
আমিরুল মুমিনীন উমর (রা.) একদা তাঁর পুত্র আবু হুরাইরা (রা.)-কে কম বয়সে বিয়ে করার জন্য পরামর্শ দেন। একদিন তিনি তাঁকে বলেন, "যত তাড়াতাড়ি বিয়ে করবে, ততই ভালো।" ইসলামে এটা সঠিক, কারণ যুবক বয়সে বিয়ে শয়তানের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
কম বয়সে বিয়ে করার অপকারিতা
আলিয়া, যে একটি গরিব পরিবারের মেয়ে, কম বয়সে বিয়ে করে। তবে, তার সঙ্গী দায়িত্বহীন এবং পরিবারের প্রতি অবহেলা করে। কিছু সময় পর, তাদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। আলিয়ার গল্পে আমরা বুঝতে পারি, কম বয়সে বিয়ে যদি চিন্তা-ভাবনা ছাড়া হয়, তবে সেটা দাম্পত্য জীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।