সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয় | সহবাসে সমস্যা বিষয়

 সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয়

সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয়

সুমন একদিন সহবাসের পর ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়ে। শরীর যেন কোনো শক্তি পাচ্ছে না। মনে হচ্ছিল, সে যেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দৌড়েছে।

চিকিৎসক বললেন, “এটা স্বাভাবিক। শরীর থেকে অনেক শক্তি বের হয়ে যায়।”

তাই সহবাসের পর হালকা খাবার, পানি, ডিম, মধু বা বাদাম খাওয়া শরীরকে ফিরিয়ে আনে।

শরীর দুর্বল থাকলে বিশ্রাম নেওয়াটাই প্রধান কাজ—কারণ শুধু ভালোবাসা নয়, নিজের শরীরটাকেও ভালোবাসা দরকার।

---

গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম

নাজমা প্রতিদিন দোয়া করে আল্লাহর কাছে, যেন তিনি তাকে একদিন ‘মা’ ডাক শোনার সৌভাগ্য দেন।

এক নারী চিকিৎসক তাকে বললেন, “আপনার শরীরের ডিম্বস্ফোটন সময়টা বুঝতে হবে। মাসিকের ১৩ থেকে ১৬তম দিন সবচেয়ে সম্ভাবনাময়।”

এছাড়া সহবাসের সময় মানসিক চাপমুক্ত থাকা, আগেই প্রস্রাব করে নেওয়া, পরে দ্রুত উঠে না যাওয়া এসবও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে সবচেয়ে বড় কথা, সন্তান আল্লাহর পক্ষ থেকে নেয়ামত—তাই চেষ্টা করে বাকিটা তাঁর উপর ছেড়ে দিতে হয়।

সহবাসের পর গোসল না করে রান্না বা খাওয়া – ইসলামী দৃষ্টিভঙ্গি

রাতে গভীর ভালোবাসায় মিলিত হওয়ার পর সায়েমা ক্লান্ত হয়ে রান্নাঘরে গেলো। স্বামী ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু তার মনে একধরনের অস্বস্তি—সে কি এই অবস্থায় রান্না করতে পারে? ইসলামের আলোকে জানতে চাইল।

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বলা হয়েছে, সহবাসের পর গোসল ফরজ। তবে সরাসরি রান্না বা খাওয়া নিষেধ নয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, "যদি গোসল না করতে পারো, তবে ওযু করে নাও।"

অর্থাৎ, রান্না বা খাবার গ্রহণ করার আগে অযু করলেই তা বৈধ হয়ে যায়। এটাই ইসলামের ভারসাম্যপূর্ণ সৌন্দর্য।

---

সহবাসের আগে লবঙ্গ খেলে কী হয়?

তালহা একটু লাজুক স্বভাবের। বিয়ের কয়েক মাস হয়ে গেলেও স্ত্রীর সামনে কিছু বলতে লজ্জা পায়। হঠাৎ একদিন সে শুনল, সহবাসের আগে লবঙ্গ খেলে নাকি উপকার হয়।

সে একটু সাহস করে খেয়ে ফেলল এক টুকরো লবঙ্গ। শরীরের ভেতর অদ্ভুত এক উষ্ণতা ছড়িয়ে পড়ল।

আসলে লবঙ্গে থাকা ইউজেনল যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখে। তবে অতিরিক্ত খেলে হতে পারে গ্যাস্ট্রিক বা পেটের সমস্যা।

তাই প্রাকৃতিক শক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই শ্রেয়।

---

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম

তানিয়া আর ইমরান অনেকদিন ধরেই চাচ্ছিলেন নতুন অতিথি আসুক তাদের জীবনে। কিন্তু কিভাবে, কখন—সবকিছু যেন ঘোলাটে।

একদিন এক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বললেন, “আপনারা সহবাস করুন মাসিকের ১১ থেকে 17তম দিনের মধ্যে।”

কারণ এ সময় মেয়েদের দেহে ডিম্বাণু নিঃসরণ হয়। এছাড়া সহবাসের সময় মানসিক শান্তি থাকা, দুজনের সম্মতি থাকা এবং ভালোবাসা থাকা জরুরি।

আর শেষ পর্যন্ত, সব আল্লাহর হাতে—তাই দোয়া ও ধৈর্যই সবচেয়ে বড় সঙ্গী।

---

বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি

রেহান ও শিমু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে জানতে পারলেন, শুধু নিয়মিত সহবাস নয়, পদ্ধতিটাও গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষ করে যে অবস্থায় সহবাস হয়, তা গর্ভধারণে প্রভাব ফেলে। মিশনারি পজিশন অর্থাৎ পুরুষ উপরে থাকা অবস্থায় সহবাস করলে শুক্রাণু জরায়ুতে পৌঁছাতে সুবিধা হয়।

সহবাস শেষে স্ত্রীর কিছুক্ষণ শুয়ে থাকা, অতিরিক্ত উত্তেজনা না থাকা—এসব জিনিস ছোট মনে হলেও গুরুত্বপূর্ণ।

ভালোবাসা, বিশ্রাম আর বিশ্বাস—এই তিনটি মিলেই গড়ে উঠে একটি নতুন প্রাণের যাত্রা।

Previous Post Next Post