গর্ভবতী হওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম কী?
সন্তান ধারণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক সময়ে সহবাস করা। মাসিক চক্রের মাঝামাঝি সময় ডিম্বাণু তৈরি হয়, তখন গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি।
সহবাসে স্ত্রীর সম্মতি ও মানসিক প্রশান্তি অপরিহার্য। সহবাসের সময় দোয়া পড়লে গর্ভস্থ সন্তান শয়তানের প্রভাব থেকে নিরাপদ থাকে।
উল্লেখ্য, আল্লাহর ইচ্ছা ছাড়া কোনো সন্তান জন্ম নেয় না। অতএব দোয়া ও তাকওয়া জরুরি।
---
সহবাসের পর গোসল না করে রান্না বা খাওয়া যাবে কি?
ইসলামে সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। তবে গোসল না করে সরাসরি খাওয়া বা রান্না করা একেবারে হারাম নয়, বরং তা মাকরুহ অর্থাৎ অপছন্দনীয়। প্রিয়নবি হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, "তোমাদের কেউ যখন সহবাস করে এবং গোসল না করে খেতে চায়, তাহলে সে যেন অজু করে নেয়।"
(সহিহ মুসলিম)।
অতএব, গোসল না করা অবস্থায় কিছু করতে হলে অন্তত অজু করে নেওয়া উচিত।
---
বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের নিয়ম কী?
সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে সহবাস করা ইসলামে সম্পূর্ণ হালাল এবং প্রশংসনীয়। সহবাসের সময় হালাল পদ্ধতি বজায় রাখতে হবে। সহবাসের আগে এই দোয়া পড়া সুন্নত:
“اللهم جنبنا الشيطان وجنب الشيطان ما رزقتنا”
(অর্থ: হে আল্লাহ! আমাদের শয়তান থেকে বাঁচাও এবং আমাদের যা দান করো, তাকেও শয়তান থেকে হেফাজত করো)।
এটি নবজাতককে শয়তানের প্রভাব থেকে রক্ষা করে।
---
বাচ্চা নেওয়ার জন্য সহবাসের পদ্ধতি কী?
গর্ভধারণের জন্য মাসিক চক্রের ১১ থেকে ১৭ দিনের মধ্যে সহবাস করাই সবচেয়ে কার্যকর সময়।
ইসলামী দৃষ্টিতে সহবাসের পদ্ধতি হতে হবে সম্মানজনক ও পরস্পরের সম্মতির ভিত্তিতে। পেছন দিক থেকে সহবাস করা নিষিদ্ধ।
সহবাসের পর গোসল ফরজ। সন্তান গ্রহণের সময় মনে রাখতে হবে – আল্লাহ যাকে ইচ্ছা সন্তান দেন, আর যাকে ইচ্ছা দেন না।
---
সহবাসের পর শরীর দুর্বল হলে করণীয় কী?
সহবাসের ফলে শরীর থেকে শক্তি নিঃসৃত হয়, যা দুর্বলতা তৈরি করতে পারে। এই অবস্থায় করণীয়:
– পর্যাপ্ত পানি পান করা
– হালকা খাবার গ্রহণ (যেমন দুধ, খেজুর, ফলমূল)
– বিশ্রাম নেওয়া
– বেশি পরিমাণে সহবাস এড়িয়ে চলা
– দোয়া ও যিকিরে মনোযোগী হওয়া
---
সহবাসের আগে লবঙ্গ খেলে কি হয়?
লবঙ্গ প্রাকৃতিক উত্তেজক হিসেবে কাজ করতে পারে। এটি রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাময়িকভাবে যৌনশক্তি বাড়তে পারে। তবে অতিরিক্ত খেলে গ্যাস্ট্রিক বা অম্বল হতে পারে।
ইসলামে শরীরের উপকারে আসে এমন কিছু খাওয়া জায়েয, যতক্ষণ না তা শরীরের ক্ষতি করে বা হারাম উপাদানে তৈরি।