খারাপ কিছু থেকে বাঁচার দোয়া
রিমা নামের এক শিক্ষার্থী প্রতিদিন ক্লাসে যাওয়ার আগে তার মায়ের কাছ থেকে একটি দোয়া শুনে বের হয়। মা বলেন, “বাবা, এই দোয়াটা পড়ে নিলে ইনশাআল্লাহ, আজ সারাদিন কোনো অশুভ কিছু তোমার কাছে আসবে না।”
দোয়াটি ছিল: اللهم إني أعوذ بك من شر ما خلقت
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি মা খালাক্তা
উচ্চারণ: Allahumma inni a'udhu bika min sharri ma khalaqt
বাংলা অনুবাদ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই, আপনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অমঙ্গলের থেকে।
একদিন সত্যিই রিমার রিকশার সামনেই ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা, কিন্তু ঠিক তার রিকশাটি সুরক্ষিত থেকে যায়। তখন সে উপলব্ধি করে, আল্লাহর কাছে প্রতিদিনকার এই ছোট্ট আশ্রয় চাওয়া কত বড় সুরক্ষা।
স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে করণীয়
রাতে হঠাৎ করে আলভি ভয় পেয়ে উঠে বসে। ঘুমে দেখেছে, কেউ তাকে অন্ধকারে টেনে নিচ্ছে। কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে যায়। মা তাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, “বাবা, ভয় পেও না। এটা শয়তানের কাজ। তুমি শুধু বাম দিকে হালকা ফুঁ দাও, বলো – আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম, আর কিছু বলো না কাউকে।”
আলভি তাই করে। এরপর মায়ের কণ্ঠে কুরআনের সুর শুনে ঘুমিয়ে পড়ে। সেই রাতে আর কোনো খারাপ স্বপ্ন আসেনি।
স্বপ্নে খারাপ কিছু দেখলে কি হয়
সাকিব অনেক দিন ধরেই দুশ্চিন্তায় ভুগছে। এক রাতে স্বপ্নে দেখে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ঘুম থেকে উঠে সে ভীষণ চিন্তিত হয়ে পড়ে।
তার দাদা তখন পাশে এসে বলেন, “স্বপ্নে সবকিছু সত্য হয় না। কখনো কখনো এগুলো শয়তানের ধোঁকা। তুমি নামাজ পড়ো, দোয়া করো, আর আল্লাহর উপর ভরসা রাখো।”
সাকিব যখন ফজরের পর সিজদায় পড়ে কান্না করল, তখনই তার মনে শান্তির পরশ বয়ে যায়।
খারাপ কিছু দেখা
নিশাত সকালে বাসে করে যাচ্ছিল। হঠাৎ রাস্তায় ভয়ানক এক দৃশ্য দেখে ফেলে — রক্তাক্ত এক পথচারী। মন ভার হয়ে যায়। সারাদিন কোনো কাজে মন বসছিল না।
তখন তার এক বান্ধবী বলে, “তুমি আল্লাহর কাছে বলো, اللهم اجعلني من عبادك الصالحين — যেন সব খারাপ দৃশ্য থেকে আমাদের রক্ষা করেন।”
বাংলা উচ্চারণ:
আল্লাহুম্মা ইজআলনী মিন ইবাদিকাস্ সালিহীন
বাংলা অনুবাদ:
হে আল্লাহ! আমাকে আপনার সৎ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
নিশাত দোয়া করে। সেই রাতে সে ঘুমায় খুব শান্তিতে, কারণ তার হৃদয়ে তখন আল্লাহর স্মরণ।
খারাপ কিছু দেখলে কি বলতে হয়
রাতের খবরে এক গৃহদাহের ভয়াবহ দৃশ্য দেখে হাবিবা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মনে হচ্ছিল, এ দুনিয়ায় কিছুই নিরাপদ নয়।
তখন সে চোখ বন্ধ করে বলল, “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
তারপর সে জানে, খারাপ কিছু দেখলে প্রথমেই আল্লাহর স্মরণ জরুরি। কারণ দুনিয়ার সব বিপদ থেকে সুরক্ষা একমাত্র তিনিই দিতে পারেন।