লুচ্চা কাকে বলে – ছোট গল্প | বাস্তব স্টাটাস

 ১. লুচ্চা কাকে বলে – ছোট গল্প

লুচ্চা কাকে বলে

রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে প্রতিদিন বসে থাকা শামীমের একটা স্বভাব ছিল—সব সময় মেয়েদের দেখলেই চোখ বড় করে তাকানো, বন্ধুরা হাসাহাসি করলে সে বলত, “দোস্ত, একটু দেখতেছি, কি হইছে!”

একদিন পাশের স্কুলের একজন শিক্ষক এসে পাশে বসলেন। বললেন,

– “ছেলে, মেয়েদের দিকে তাকানো খারাপ নয়, খারাপ হলো যখন তোমার চাহনি কাঁটা হয়ে যায়।”

শামীম হেসে উড়িয়ে দিল।

পরের দিন স্কুলের এক ছাত্রী কাঁদতে কাঁদতে দোকানে এসে বলল,

– “আমার ছবি তুলে দিয়েছেন এই লোকটা!”

চারদিকে শোরগোল। দোকানদার, এলাকাবাসী, পুলিশ সবাই এসে শামীমকে ধরে নিয়ে গেল।

তখন সবাই বলল,

– “এই জন্যই তো তাকে আমরা আগে থেকেই লুচ্চা বলতাম, কেউ বিশ্বাস করত না!”

লুচ্চা বলা হয় সেই মানুষকে, যার চোখে সম্মান নেই, যার আচরণে কুপ্রবৃত্তির গন্ধ।

---

২. লুচ্চা ক্যাপশন – গল্প আকারে

নিশি তার প্রোফাইলে একটা ছবি দিলো, সাধারণ একটা ক্লাসিক সাজ, কোনো খোলামেলা কিছু নয়।

তবুও ইনবক্সে একটা মেসেজ এল:

– “এই রকম লুকেও এত হট, তুমি তো আগুন!”

নিশি রেগে গেল। স্ক্রিনশট তুলে নিজের প্রোফাইলে ক্যাপশন দিলো:

“যে চোখ নারীর সাধারনতাকেও অশ্লীল ভাবে, সেই চোখই সমাজের সবচেয়ে বড় লুচ্চামির উৎস।”

সেই দিন অনেক মেয়েই তাকে স্যালুট দিলো, আর ছেলেটি তার আইডি বন্ধ করলো।

---

৩. লুচ্চা স্ট্যাটাস – গল্প আকারে

তুহিন ফেসবুকে প্রায়ই নানা ধরণের ছবি পোস্ট করে। কিন্তু তার কমেন্ট সেকশনে সবসময় কিছু অদ্ভুত ছেলের মন্তব্য থাকে:

– “ভাই, এইটা কোন এলাকা?”

– “এই মেয়ের নম্বরটা পাইলে কাজ সেরে দিতাম!”

তুহিন একদিন স্ট্যাটাস দিলো:

“নারীকে যেদিন মানুষ হিসেবে দেখবে, সেদিনই তুমি মানুষ হবে। তার আগে তুমি শুধু মুখোশধারী লুচ্চা।”

সেই পোস্টে হাজারো কমেন্ট, হাজারো শেয়ার।

মানুষ বুঝল—ভদ্রতা আর লুচ্চামির মাঝের পার্থক্য কত গভীর।

---

৪. লুচ্চামি স্ট্যাটাস – গল্প আকারে

সুমি একদিন লাইব্রেরিতে বসে পড়ছিল। পাশে বসা ছেলেটি হঠাৎ খুব নরম স্বরে বলল,

– “আপু, আপনাকে দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়।”

সুমি হাসল না, বলল,

– “তোমার মন ভালো করার দায়িত্ব আমার না।”

বাড়ি ফিরে এসে সে স্ট্যাটাস দিলো:

“আসলে কিছু ছেলের লুচ্চামি এত শান্তভাবে আসে, যে মেয়েরা না বলে অপরাধী হয়ে যায়।”

পরদিন অনেক মেয়েই কমেন্ট করে লিখল—“ঠিক বলেছো।”

সুমির সেই স্ট্যাটাস ছিল সাহসী কণ্ঠস্বরের প্রতীক।

---

৫. লুচ্চা – গল্প আকারে

রায়হান বাইরে থেকে একদম স্মার্ট, সুগন্ধি লাগানো, চোখে চশমা, মুখে হাসি।

কিন্তু পরিচয়ের কিছুদিন পর মেয়েদের মেসেজে লেখে,

– “তুমি একা থাকো?”

– “তোমার শরীর খুব সুন্দর।”

এক মেয়ে সেই কথাগুলো স্ক্রিনশট দিয়ে পোস্ট করে দিলো।

ছবির নিচে লেখা ছিল:

“ভদ্রতার মুখোশে যারা লুকায়, তাদের চেনা খুব জরুরি। কারণ লুচ্চারা শুধু রাস্তায় থাকে না, সোফায় বসেও থাকে।”

---

৬. লুচ্চা মানে কি – গল্প আকারে

মারুফ বলত, “দোস্ত, একটু তো মজা করতেই পারি মেয়েদের সাথে, এটাই তো বয়স।”

তখনই তার বন্ধু রবি বলল,

– “মজা তখনই মজা, যখন দুই পক্ষের সম্মতি থাকে। অন্যথায়, সেটা হয় ইভ টিজিং, হয় লুচ্চামি।”

মারুফ চুপসে গেল।

লুচ্চা মানে সেই ব্যক্তি, যার মজা অন্যের অসম্মানে পরিণত হয়। যার ভাষা ও ব্যবহার কারও কাছে নিরাপদ নয়।

---

৭. লুচ্চা কি শুধু পুরুষ হয়? নারী হয় না – গল্প আকারে

সালমা প্রায়ই ছেলেদের শরীর নিয়ে কৌতুক করত, ফেসবুকে মজার ছলে তাদের ছবি পোস্ট করত, ছেলেদের গায়ের রঙ, মুখ নিয়ে হাসাহাসি করত।

রহিম একদিন লিখল,

“লুচ্চামি কোনো লিঙ্গ বুঝে না। পুরুষ হলে লুচ্চা, নারী হলে দেবী—এই ভাবনার পরিবর্তন দরকার। অপমান মানে অপমান, সে যেই করুক।”

সেই স্ট্যাটাস ভাইরাল হলো।

নারী-পুরুষ সবাই বুঝল, লুচ্চা হওয়া মন ও মানসিকতার বিষয়, শরীর বা লিঙ্গের নয়।

Previous Post Next Post